হামলায় ছাত্রলীগ নেতা ওসমানসহ কয়েকজন অংশ নেন বলে বিভিন্ন টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হয়েছেন ফেনী জেলা বিএনপির নেতারা। তবে তাঁরা ভয়ে নাম উদ্ধৃত হয়ে কিছু বলতে চাননি। ওই হামলায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলাকারীদের ইট ও লাঠিসোঁটা আঘাতে সেখানে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন।
গতকাল রোববার দুপুরে মোহাম্মদ আলী বাজারে গিয়ে স্থানীয় লোকজন ও সড়কের পাশের কয়েকজন দোকানির সঙ্গে কথা হয়। নাম না প্রকাশের শর্তে তাঁদের মধ্যে তিনজনবলেন, খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে বাজার অতিক্রম করার সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতা-কর্মীকে সেখানে উপস্থিত থাকতে দেখেছেন তাঁরা। এর মধ্যে কয়েকজন হামলায় অংশ নিয়েছে। স্থানীয় অন্য কোনো লোকের পক্ষে এ ধরনের কাজ করার সাহস হবে না।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে গতকাল কয়েক দফা নানা মাধ্যমে ছাত্রলীগ নেতা ওসমান গণির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। পরে বিকেলে মুঠোফোনেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোন গত রাত নয়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বন্ধ ছিল।
হামলার ঘটনায় স্থানীয় ছাত্রলীগের জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে ফেনী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হায়দার বলেন, বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে যে যুবকের ছবি দেখানো হয়েছে, সেটা ওসমানের নয়। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সাংবাদিকদের গাড়িতে হামলা করবেন কেন। ওই এলাকার বিএনপির কর্মীরা এ ঘটনা ঘটিয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের খেপিয়ে তোলার অপচেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে থাকা সাংবাদিকদের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির কেউ কোনো অভিযোগ করেনি বলে জানান ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদ খান চৌধুরী।
তিনি বলেন, তারপরও যেহেতু সাংবাদিকদের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, সে কারণে বিষয়টি অনুসন্ধান করছেন তাঁরা।
হামলার ওই ঘটনায় মামলা করা হবে কি না, জানতে চাইলে ফেনী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন ওরফে মিস্টার মিয়া বলেন, এটি কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। হামলায় অংশ নেওয়া যুবকদের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে এটি ঘটেছে। এর বেশি কিছু বলার নেই। তবে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান তিনি।