শুরুতেই বড় চ্যালেঞ্জে পড়লেন নতুন করে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব পাওয়া সাকিব আল হাসান। ব্লুমফন্টেইনে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ১৯৬ রান। লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে ইতিহাসই গড়তে সাকিবের দলকে।
আজ জিততে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে। গত বছর জানুয়ারিতে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৬৩ রান তাড়া করে জিতেছিল বাংলাদেশ। বিদেশের মাটিতে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ৮ বছর আগে, এই দক্ষিণ আফ্রিকাতেই। জোহানেসবার্গে ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৬৫ রান তাড়া করে জিতেছিল বাংলাদেশ।
ম্যাচে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। চার পেসার নিয়ে মাঠে নামলেও প্রথম ওভারে বোলিংয়ে এসে চমকে দেন সাকিব। পরের ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজকে দিয়ে বোলিং করিয়ে ফাটকা খেলার আভাস দিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। দ্বিতীয় ওভারে হাশিম আমলাকে তুলে নিয়ে মিরাজ তাঁর অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক প্রমাণ করলেও প্রোটিয়াদের রানের চাকা আটকানো যায়নি। প্রথম ১০ ওভারে প্রোটিয়াদের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৯৭। একমাত্র অষ্টম ওভারে বাংলাদেশের বোলাররা কোনো বাউন্ডারি দেয়নি। পরের ১০ ওভারেও দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়েছে একই গতিতে, তুলেছে ৯৮ রান। শেষ ৫ ওভারেই উঠেছে ৬২ রান। ওভার প্রতি প্রায় ১০ রান তোলা প্রোটিয়াদের স্কোর দাঁড়িয়েছে ৪ উইকেটে ১৯৫।
দলীয় ১৮ রানে আমলা ফিরলেও দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য সেটি কোনো সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়নি এবি ডি ভিলিয়ার্স-ডি ককের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে। দুজনের দ্বিতীয় উইকেট জুটি ৪৮ বলে যোগ করেছে ৭৯ রান। ফিফটি থেকে মাত্র ১ রান দূরে থেকে ডি ভিলিয়ার্স আউট হলেও ডি কক ফিরেছেন ৫৯ রানে। ৩৬ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারালেও দক্ষিণ আফ্রিকার বড় স্কোর এনে দিয়েছেন বিহারডিয়ান-মিলার। দুজনের অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেট জুটি ৩১ বলে তুলেছে ৬২ রান। ৩১ রানে ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মিরাজই যা একটু সফল।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের কখনো ১৯৬ রান তাড়া করা জেতার রেকর্ড নেই ঠিকই। কিন্তু এই সফরে তো আর হারানোর কিছু নেই সাকিবদের। জয়-পরাজয়ের ভাবনা পরে। বাংলাদেশ অন্তত অসহায় আত্মসমর্পণ করবে না—এতটুকুও কি দেখা যাবে না আজ?