প্রেমিকাদের সাথে যৌনতার উন্মুক্ত বর্ণনা নওয়াজের বইয়ে

Slider বিনোদন ও মিডিয়া

15470508miss-lovely-cast-at-rediff5

 

 

 

 

বলিউড তারকারা নিজেদের জীবনের জানা-অজানা কথা বায়োগ্রাফির মাধ্যমে ভক্তদের সামনে আনেন। কখনও কখনও সেই বই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে।

নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির বায়োগ্রাফির ক্ষেত্রেও এমনই হতে পারে।  মেয়েদের সাথে যৌনতার উন্মুক্ত বর্ণনা নওয়াজের বায়োগ্রাফি বইয়ে পাওয়া গেছে। এই অভিনেতার বায়োগ্রাফির নাম অ্যান অর্ডিনারি লাইফ। বইটি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়নি। তবে একটি ওয়েবসাইটে বইয়ের কিছু অংশ সামনে আনা হয়েছে। মুম্বাইয়ে আসার পর প্রথম প্রেম থেকে বিয়ে, নওয়াজের ব্যক্তিগত জীবনের এসব বিষয় রয়েছে বইতে। ঋতুপর্ণা চ্যাটার্জির লেখা বইয়ে উল্লেখ, মুম্বাইয়ে সুনীতা নামে এক অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান নওয়াজ। তারপর তাঁর সঙ্গে সুজেন ও অভিনেত্রী নিহারীকার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে এদের কারোর সঙ্গে বিয়ে হয়নি অভিনেতার।

নওয়াজ়ের মুখের কথা তুলে ধরা হয়েছে বইয়ে। নওয়াজ বলেছেন, মিস লাভলি ছবির একটি নাচের দৃশ্যের শুটিং চলছিল। তখনই অভিনেত্রী নিহারীকা সিংয়ের কিছু একটা হলো। তারপর থেকে ও আমার থেকে দূরে দূরে থাকতে শুরু করল ও। আগে তো বন্ধুর মতো ব্যবহার করত। কথা বলত। আমি ভাবলাম ওকে জিজ্ঞেস করব। করলামও। তবে উত্তর পেলাম না। একদিন আমার বাড়িতে মাটন খাওয়ার নিমন্ত্রণ করলাম। ও এলো। মাটন খেল। প্রশংসাও করল।

“এরপর আমাকে ওর বাড়িতে ডাকল। বলল, মাটন খাওয়াবে। আমি সেদিন প্রথমবার নিহারীকার বাড়ি গেলাম। দরজা বন্ধ ছিল। তা খোলামাত্র দেখে অবাক হলাম। দেখলাম, হাজারটা মোমবাতির আলো। আমি ওকে জড়িয়ে ধরে সোজা বেডরুমে নিয়ে চলে গেলাম। সেই শুরু হল আমাদের প্রেম। মাত্র দেড়বছর ছিল সেই সম্পর্ক।

নিহারীকার সঙ্গে সম্পর্ক থাকাকালীন সুজানের সঙ্গেও প্রেম করছিলেন নওয়াজ। যা নাকি জানতে পেরে যান নিহারীকা। অশান্তি হয়। সুজেনের সঙ্গে সম্পর্ক ছাড়তে হয় নওয়াজকে। তিনি আরও লিখেছেন, এসব সম্বন্ধ তৈরি করতেন কেবলমাত্র নিজের জন্য।

নওয়াজের কথায়, আর পাঁচজন মেয়ের মতো নিহারীকাও চাইত আমি মিষ্টি মিষ্টি কথা বলি। হাসিঠাট্টা করি। তবে আমি স্বার্থপর ছিলাম। আমি মেয়েদের কাছে স্বার্থে গিয়েছি। আমি যেসব মেয়েদের সঙ্গে মিশেছি তাদের আমাকে নিয়ে কোনও না কোনও অভিযোগ থাকত। আমি তো নিজের প্রয়োজনে যেতাম। অন্য সময় তো ফোনও তুলতাম না। নিহারীকার জন্যই আমি যেতাম ওদের বাড়ি। নিজে থেকে যেতাম। একদিন গেলাম। ওকে জড়িয়ে ধরলাম। ও বলল, আমার সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে দেবে। সম্পর্ক শেষ করবে। আমি কাঁদতে লাগলাম। ক্ষমা চাইলাম। ও কোনও কথা শুনল না। দুমাস পরে আর একটি মেয়ে আমার জীবনে এল। তখন বুঝতে পারিনি, তাকে আমি বিয়ে করব। ”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *