বাংলাদেশ দল গত দুই-তিন বছরে যে সাফল্য পেয়েছে, তাতে জ্যেষ্ঠদের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল তরুণ খেলোয়াড়দের। সাকিব-তামিম-মুশফিকদের পাশাপাশি মোস্তাফিজ-সৌম্য-সাব্বিররাও জ্বলে উঠেছিলেন বলেই বাংলাদেশ লিখেছে একের পর এক গৌরবগাথা। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এখনো দেখা যায়নি মোস্তাফিজ-সাব্বিরদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। তবে তরুণদের ওপর আস্থা হারাচ্ছেন না ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেমিফাইনাল খেললেও সে সাফল্য এসেছিল দলের সিনিয়রদের হাত ধরে। প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফরম্যান্স দেখা যায়নি দলের তরুণ খেলোয়াড়দের মাঝে। এরপর আর ওয়ানডে খেলেনি বাংলাদেশ। তাই এখনই তরুণদের ওপর অযথা চাপ সৃষ্টি করতে চান না মাশরাফি, ‘আমি তাদের ওপর চাপ তৈরি করতে চাই না। অনেক নেতিবাচক কথা হবে, সেটা স্বাভাবিক। একজন খেলোয়াড় হিসেবে সব মেনে খেলতে হবে। ভালো সময়-খারাপ সময় যাবে। ওদের এটা শেখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওরা ২-৩ বছর ধরে খেলছে। যখন দেশের বাইরে খেলতে আসবে, সবকিছু আমাদের বাইরে থাকবে। তখন খারাপ সময় গেলে এটা মেনে নিয়েই লড়তে হবে। এতে যেন তারা চাপ অনুভব না করে। সাম্প্রতিক অতীতে তাদের অবদান ছোট করে দেখি না। অবশ্যই চাইব মানসিকভাবে ওরা শক্ত হোক।’
টেস্টে বাংলাদেশ দলের দল নির্বাচন, টস জিতে বোলিং নেওয়া ও মানসিকতা—সবকিছু নিয়েই সমালোচনা হয়েছে। তবে রক্ষণাত্মক মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামাটাই সবচেয়ে প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। ওয়ানডেতে অন্তত এমন কিছু দেখতে চান না অধিনায়ক, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে রক্ষণাত্মক ক্রিকেটের প্রশ্নই আসে না। যদি এমন ভাবনা থাকে, ওদের হারাতে নিজেদের দিনের অপেক্ষায় থাকব, তাহলে ওদের কাছে সুযোগই পাব না। এ থেকে বেরিয়ে আসার একটাই উপায়, প্রথম বল থেকেই আক্রমণ! এই কন্ডিশনে উপমহাদেশের দল হিসেবে আমাদের জন্য খুবই কঠিন। কিন্তু এখান থেকে বেরোতে পারি একমাত্র আক্রমণাত্মক খেলে।’
আক্রমণাত্মক মানসিকতা প্রথম বল থেকেই দলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারেন যিনি, সেই তামিম ইকবালকে নিয়ে শঙ্কা রয়ে গেছে ম্যাচের আগের দিনও। মাশরাফি অবশ্য দলের সেরা ব্যাটসম্যানকে পাওয়ার আশা ছাড়ছেন না, ‘আমরা পজিটিভ, আশা করছি তামিম ফিট হয়ে ফিরবে।’