কর্মক্ষেত্রে নারীর মানসিক স্বাস্থ্য

Slider নারী ও শিশু

aff64fbb89d0d33c35da69b556e94c76-591a7583cb2b9

 

 

 

 

উন্নত বিশ্বে প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে গড়ে প্রায় ১০ শতাংশ কর্মী কেবল বিষণ্নতার কারণে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। বিষণ্নতার কারণে বছরে গড়ে ৩৬ কর্মদিবস নষ্ট হয়। কিন্তু বিষণ্নতায় আক্রান্ত ৫০ শতাংশ কর্মী চিকিৎসাসেবা নেন না। অনেক সময় মানসিক সমস্যার কথা মুখ ফুটে বললে চাকরি হারানোর ভয় থাকে। দেশে অনেক ক্ষেত্রে নারীদের মধ্যে কর্মস্থলে মানসিক স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেশি দেখা গেছে। তবে কাজের চাপ, অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা, উদ্বেগ, পরিবারে সময় কম দেওয়া ইত্যাদি কারণে নারী-পুরুষ উভয়ের ওপর মানসিক চাপ বাড়ে, যা কর্মদক্ষতা কমিয়ে দেয়।
কর্মক্ষেত্রকে মানসিক স্বাস্থ্যবান্ধব করতে এবং নারীকর্মীদের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে চাকরিদাতা ও কর্মীদের সচেতন হতে হবে। কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্য যাতে না থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে। গুণগত মানসম্মত কর্মী নিয়োগ, শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া, কর্মীদের মনের যত্নের জন্য কাজের পাশাপাশি বিনোদনমূলক কার্যক্রম চালু রাখলে (পিকনিক, চা চক্র ইত্যাদি) কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপ কমাবে।
কর্তৃপক্ষ এগিয়ে না এলেও নিজেরা নানা কার্যক্রম চালু করতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে পরস্পরের সঙ্গে স্বচ্ছ ও সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে শিখুন। যেসব নারীকর্মীর শিশুসন্তান রয়েছে, তাদের জন্য কর্মক্ষেত্রে ‘শিশু যত্ন কেন্দ্র’ থাকা উচিত। যে কারও সাফল্যকে উদ্যাপন করতে হবে, ব্যর্থতাকে বারবার তুলে ধরা যাবে না, ব্যঙ্গবিদ্রূপ করা চলবে না। কারও মধ্যে বিষণ্নতা, উদ্বেগ বা আচরণজনিত সমস্যা দেখা দিলে সেটি নিয়ে তার সঙ্গে আলাদা কথা বলতে হবে।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *