প্রধান বিচারপতি গৃহবন্দি, দস্তখতও নকল ———-মওদুদ

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

257359_119

 

 

 

 

 

ঢাকা: প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ষোড়শ সংশোধনীর রায়কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে নতুন নতুন আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটতেছে। যা আগে কখনো ভাবিনি। প্রধান বিচারপতির ছুটির আবেদনকে ভুয়া ও জালিয়াতি দাবি করে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির অসম্মতিতে তাকে ছুটিতে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। এখন তাকে বিদেশ পাঠানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে সরকার নিজেই বিচার বিভাগের মৃত্যু ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

‘নগ্ন দলীয়করণে বিপর্যস্ত শিক্ষা ব্যবস্থা’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট।

বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়ার সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, শিক্ষক নেতা বাহাউদ্দিন বাহার প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর রায়কে কেন্দ্র সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা যে ভাষায় কথা বলেছেন, তার নজির পৃথিবীর কোথাও নেই। এখন তার অসুস্থতার কথা বলে তার অসম্মতিতে এক মাসের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ কিছুদিন আগে তিনি জাপান, কানাডা থেকে ঘুরে এসেছেন। তিনি সুস্থ একজন মানুষ।

আইনমন্ত্রী এস কে সিনহার যে চিঠি গণমাধ্যমে দেখিয়েছে সেটিকে ‘ভুয়া চিঠি’ অভিহিত করে সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, চিঠিতে পাঁচটি বানান ভুল। এই ভুল চিঠি দেখে কোনো প্রধান বিচারপতি স্বাক্ষর করতে পারেন না। তাছাড়া তিনি সচরাচর যে স্বাক্ষর করেন তার সাথে ওই চিঠির স্বাক্ষরে মিল নেই।

মওদুদ আহমদ বলেন, লজ্জা লাগে রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায় থেকে এ ধরনের ভুয়া ও জালিয়াতি তথ্যজনগণকে দেয়া হয়। মুলত তিনি ছুটি চাননি। এতে সম্মতও ছিলেন না।

প্রধান বিচারপতির সাথে কাউকে সাক্ষাৎ করতে দেয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে প্রবীণ এই আইনবিদ বলেন, আইনজীবিরা তার সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে বলা হয়েছে তিনি অসুস্থ। তার আত্মীয় স্বজনকেও দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। তার বাসার টেলিফোন লাইনটিও বিচ্ছিন্ন। তাকে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র কার হচ্ছে।

সেমিনারে অংশ নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধান বিচারপতি ছুটি নেননি। তাকে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে বাধ্য করা হয়েছে। বন্দুকের নল দিয়ে তাকে আটকে রাখা হয়েছে অথবা এখন কোনো পরিবেশে তিনি রয়েছেন আমরা জানি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *