শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। সৈকতের যেসব জায়গায় পর্যটকদের আনাগোণা বেশি থাকে তার মধ্যে লাবনী, সুগন্ধা ও কলাতলী সী বিচ পয়েন্ট অন্যতম।
বেশ কিছুদিন ধরে কলাতলী পয়েন্টে বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে শিশুদের নিয়ে পর্যটকরাও থাকছেন আতঙ্কে। বিশেষ করে বিকেলের দিকে ৩০/৪০টি কুকুর দল বেঁধে সৈকতে ছোটাছুটি করে।বেওয়ারিশ কুকুরের এমন উৎপাতে শুধু শিশুরাই নয়, বড়রাও আতঙ্কিত- এমনটাই অভিযোগ করলেন ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা নাজমা আক্তার। ৭ বছরের ছেলে মুহিতকে নিয়ে কক্সবাজার এসেছেন ছুটি কাটাতে। কিন্তু কুকুরের উৎপাতের কারণে সৈকতে নেমেই কিংকর্তব্যবিমূঢ়ের মতো অবস্থা হচ্ছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, মানুষ এখানে এসে স্বস্তিতে সময় কাটাতে চায়। অথচ এখানে এসেও আতঙ্কের মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
অন্যদিকে, ভাসমান ফটোগ্রাফার রাজীব বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই এ সমস্যা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এমনও দেখা যাচ্ছে কোনো পরিবারের ছবি তুলতে প্রস্তুতি নিচ্ছি ঠিক তখনই কুকুরের দল ছুটে এল। তাদের ছুটে আসা দেখে ছবি তোলা বাদ দিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচাতে ছুটে পর্যটকরা। কুকুরের দলকে দেখে অধিকাংশ পর্যটকই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।
একই অভিযোগ করলেন সৈকতের স্থানীয় এক দোকানদার। তিনি বলেন, সমুদ্রসৈকতের কলাতলী পয়েন্ট ঘেঁষে বেশ কয়েকটি ভালোমানের হোটেল থাকায় দেশী পর্যটকের পাশাপাশি বিদেশী পর্যটকেরাও ভিড় করেন। কুকুরের এ দলকে থামানো না গেলে যে কোনো মুহূর্তে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার শঙ্কা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সৈকতে পরিছন্নতার দায়িত্বে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা এ অভিযোগ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করি, এ বিষয়টির খুব দ্রুত সুরাহা হবে।