ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাকিবকে নিয়ে ব্যঙ্গ

Slider খেলা
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাকিবকে নিয়ে ব্যঙ্গ

বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান সম্প্রতি দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। কথা বলেছেন ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ নিয়েও।

ক্রিকেটে যেটা খুবই স্বাভাবিক। ভারতের ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব সৌরভ গাঙ্গুলী, শচীন টেন্ডুলকার থেকে রবি শাস্ত্রী সবাই অন্য দেশের ক্রিকেটের পাশাপাশি বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে নিয়মিতভাবে কথা বলেন। কিন্তু সাকিবের দেয়া বক্তব্য নিয়েই বেঁধেছে যত ঝামেলা। এটিকে নিয়ে ব্যঙ্গ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবেলা। তারা সাকিবের পরামর্শকে অযাচিত আখ্যা দিয়েছে। তাদের দাবি, ভারত টেস্ট ও ওয়ান ডে- আইসিসি-র র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ স্থানে। তাই সাকিবের পরামর্শের দরকার নেই ভারতীয় দলের।শনিবার  ‘বিশ্বের একনম্বর দলকে ‘পরামর্শ’ দিয়ে হাসির খোরাক সাকিব, আপনিও হাসবেন’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি হুবুহু তুলে ধরা হল :

‘টেস্ট ও ওয়ান ডে- আইসিসি-র র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ স্থানে এখন ভারত। অস্ট্রেলিয়াকে টানা দু’ম্যাচে বধ করে টিম কোহলি এখন সেরা ফর্মে। ঘরের মাটিতেই অজিদের হোয়াইট ওয়াশ করার লক্ষ্যে রয়েছে ভারত। তবে অস্ট্রেলিয়ার এই খারাপ ফর্মের রিংটোন বেঁধে দিয়েছিল বাংলাদেশ সফরই। বাংলাদেশের কাছে প্রথম টেস্টে স্পিনে কুপোকাত হয়েছিল ক্যাঙারু বাহিনী।

তবে এমন সময়েই কিছুটা অযাচিত ভাবে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর টিপস দিয়ে দিলেন সাকিব আল হাসান। বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিশ্রামে রয়েছেন তারকা বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ চলাকালীনই তিনি কীনা বিরাট কোহলিদের ‘পরামর্শ’ দিলেন অস্ট্রেলিয়াকে কীভাবে হারাতে হবে!

বাংলাদেশের এক ক্রীড়া পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব আল হাসান জানান, ‘‘ভারত সবসময় একটা আলাদা সুবিধা পাবে। অস্ট্রেলিয়া তুলনামূলকভাবে কিছুটা চাপে রয়েছে। দেখুন, ভারতের বোলিং লাইন আপ যথেষ্ট শক্তিশালী। এখন খুব ভালো ছন্দেও রয়েছে। ফলে ব্যাটিংয়ে কোনও ভুলভ্রান্তি যেন না হয়। এই ব্যাপারটা মাথায় রাখলেই, ভারতকে আর কোনও চাপ নেওয়ার দরকার নেই। ’’

পাশাপাশি তিনি আরও বলেছেন, “ঘরের মাটিতে ভারত বরাবরই দুর্ধর্ষ ফর্মে থাকে। আমি আর বেশি কিছু বলব না। কারণ ভারত ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পরিকল্পনা করে ফেলেছে। চেন্নাইয়ে দলের জয়ে হার্দিক যেভাবে সাহায্য করেছিল, এটা দলের ব্যাটিং গভীরতার কথা স্পষ্ট জানান দেয়। ”

প্রশ্ন উঠছে, ভারত ভালভাবেই জানে কীভাবে অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলকে হারাতে হয়। সেজন্য ভারতীয় স্কোয়াডে রয়েছে একাধিক ক্রিকেট মস্তিষ্ক। হঠাৎ সাকিব ভারতকে পরামর্শ দিতে গেলেন কেন! ভারতও বা সাকিবের পরামর্শ খোলা মনে গ্রহণ করবে, তারও বা নিশ্চয়তা কী! সাকিব বরং নিজের খেলার উন্নতির দিকে নজর দিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই মজা করে বলছেন, ব্যাপারটা অনেকটা ‘বিড়ালকে মাছ খাওয়া শেখানোর মতো’।

যা ইহোক, সাকিবের পরামর্শ শুনে ভারতীয় ক্রিকেটাররাও যে হেসে ফেটে পড়বেন না, এমনটা কে বলতে পারে!’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *