সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে গতকাল রোববার অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিয়ে আরসা বলে, মানবিক সংকটের কথা বিবেচনা করে তারা অস্ত্রবিরতিতে যেতে চায়। এক বিবৃতিতে আরসা মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে অস্ত্র ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানায়।
বিবিসির খবরে জানা যায়, এর প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ হাতে রোববার এক টুইটে বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের’ সঙ্গে সমঝোতা করার কোনো নীতি তাদের নেই।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কয়েকটি পুলিশ ও সেনাচৌকিতে হামলার সূত্র ধরে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে দমন অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী ও পুলিশ। আরসা গত ২৫ আগস্ট ওই হামলা চালায় বলে অভিযোগ মিয়ানমার সরকারের। গত ২৫ আগস্ট রাখাইনের ৩০টি পুলিশ ও সেনাচৌকিতে হামলা হয়। এরপর সেখানে সেনা অভিযান শুরু হলে প্রাণভয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের পথে রোহিঙ্গারা আসতে থাকেন। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা সীমান্তের ওপারে সেনাবাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিকল্পিত দমন অভিযানের বিবরণ দেয়। গত দুই সপ্তাহে বাংলাদেশে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা ঢুকেছে বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।