মাইক্রোনেশনের বিস্ময়কর জগতে…

Slider বিচিত্র
image_155313.atlantium1দুনিয়ার যাবতীয় আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আর গণতন্ত্র-স্বৈরতন্ত্র-সমাজতন্ত্র ইত্যাদির জটিলতা থেকে বেরিয়ে এসে নিজের মনের মতো রাষ্ট্র গঠন করতে পারেন। একে বল হয় মাইক্রোনেশনস। এটি ওয়ার্ল্ড গভমেন্ট দ্বারা স্বীকৃতি প্রাপ্ত নয়। কিন্তু নিজের মনের মতো রাষ্ট্র একাই গঠন করেন।
১. প্রথম মাইক্রোনেশন গঠনের ছবি সিল্যান্ডে গঠন করে তার ছবি তোলা হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সিল্যান্ডের উপকূল থেকে পরিত্যক্ত আট মাইল দূরে অবস্থিত একটি স্থানে এই রাষ্ট্র গঠন করেন প্যাডি রয় নামের এক লোক।
২. ১৯৯৯ সালে এই রাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসেন তার ছেলে প্রিন্স মাইকেল।
৩. সিল্যান্ডের সরকার এই ভূমির কোনো ক্রেতা না পেয়ে তা বেটস পরিবারকে দিয়ে দেয়।
৪. সিল্যান্ডের এই ভিন্ন ধাঁচের রাষ্ট্র নিয়ে খোঁজ করতে দেখা গেলো, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মাইক্রোনেশনস ছড়িয়ে রয়েছে।
৫. ১৯৪৭ সালে ফ্রান্স ও সুইস সীমান্তের কাছে মজা করে গঠন করা হয় ‘রিপাবলিক অফ সোগিয়াস’। ১১টি শহর নিয়ে গঠিত হয় এই রাষ্ট্র। আজো তা একই রকম রয়েছে এবং পর্যটকরা নিয়মিত আসেন ছোট এই রাষ্ট্রতি দেখতে।
৬. মাত্র ১৫ বছর বয়সে ট্রাভিস ম্যাকহেনরি প্রথম মাইক্রোনেশন গঠন করেন। ক্যালিফোর্নিয়া এবং সাহারার সমন্বয়ে রাষ্ট্র গঠন করা হয়।
৭. লস অ্যাঞ্জেলস থেকে ৩ ঘণ্টার পথে যাওয়া যায় কালসাহারা। এই রাষ্ট্রে ৩-১০ জন নাগরিক রয়েছেন।
৮. ২০০৬ সালে তিনজন বন্ধু মিলে ‘দ্য কনস্যুলেট অব লা বোইরি’ নামের রাষ্ট্র গঠন করেন।
৯. ফ্রান্সে সাত হেক্টরের একটি রাষ্ট্র গঠন করা হয়। সেখানে প্রতিনিয়ত পার্টি এবং নানা খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
১০. আমেরিকার ফ্লোরিডার সীমান্তে ঢুকতে রুট ১-এর কাছে বড় ট্রাফিক জ্যাম পড়ে। ১৯৮২ সালে এখানে ‘কঞ্চ রিপাবলিক’ নামের রাষ্ট্রের মালিক কি ওয়েস্ট মেয়র ডেনিস ওয়ার্ডল।
১১. বর্তমানে কঞ্চ রিপাবলিক পর্যটকদের কাছে দারুণ আকর্ষণীয় এলাকা। এই রাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস নিয়মিত পালন করা হয়।
১২. ইতালির প্রিন্সিপালিটি অব সেবোরগা বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো মাইক্রোনেশনগুলোর একটি।
১৩. সেবোরগার স্বাধীনতা যদিও ইতালি মেনে নেয় না, কিন্তু রাষ্ট্রটি তাদের সার্বভোমত্ব ঠিকই দাবি করে।
১৪. সিডনির শহরতলীর ১১০ বর্গ ফুট এলাকাকে তিনজন অস্ট্রেলিয়ান কিশোর ‘এম্পায়ার অব আটলান্টিয়াম’ বলে ঘোষণা করেন ১৯৮১ সালে।
১৫. জর্জ ক্রুকশাঙ্ক পৃথিবীর সব মাইক্রোনেশনের অ্যাম্বাসাডর হয়ে কাজ করেন।
১৬. আমেরিকার সবচেয়ে বিখ্যাত মাইক্রোনেশনটি হলো রিপাবলিক অব মোলোসিয়া।
১৭. রিপাবলিক অব ভাল্ডস্টেইন এমনি এক মাইক্রোনেশনে উন্নয়নে কাজ করছেন এখানকার প্রধানমন্ত্রী কেভিন বাগ।
১৮. এই রাষ্ট্রটিকে অনেকেই মাইক্রোনেশনের রোল মডেল হিসেবে তুলে ধরেন।
১৯. ডেনমার্কের উপকূলে কিংডম অব এলিওর এর এমনই আরেকটি মাইক্রোনেশন।
২০. ডেনমার্কের এই মাইক্রোনেশনের ইতিহাস স্কুলে পড়ানো হয়।
সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *