নায়কদের কাঁধে নায়করাজের দেহ

Slider জাতীয়

9cb84f072cabc3442a6e19fab921ae4c-599d39e948c0d

ঢাকা:  নায়করাজ রাজ্জাকের শেষযাত্রা। তাঁর মরদেহ বনানী গোরস্থানে নেওয়া হলো আজ বুধবার সকাল ঠিক ১০টায়। পুলিশি পাহারায় দেশের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তির মরদেহ বহনকারী শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িটি যখন গোরস্থানের ফটক দিয়ে ঢুকছে, তখন ভেতরটা অসংখ্য ভক্তের দখলে। প্রবেশমুখ থেকে সোজা শেষ মাথায় গিয়ে তারপর ডান দিকে মোড়, সেখান থেকে কয়েকটি কবরের পরেই প্রস্তুত ছিল নায়কের শেষ ঠিকানা। বৃষ্টি হচ্ছিল, আগেই টাঙানো হয়েছিল শামিয়ানা।

ছেলে বাপ্পারাজ, বাপ্পী, সম্রাট এবং অভিনেতা শাকিব খান কাঁধে করে নায়করাজকে নিয়ে যান কবরের দিকে। এ সময় পরিবারের লোকজন ছাড়াও ছিলেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, প্রযোজক সমিতি, পরিচালক সমিতির বেশ কজন সদস্য ও অসংখ্য ভক্ত। দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ এসে হাজির হয়েছিলেন প্রিয় অভিনেতাকে শেষবিদায় জানাতে। গোরস্থানে প্রিয় নায়কের একটি জানাজা হবে জানতে পেরে উত্তরা থেকে এসেছিলেন লিফন নামের এক তরুণ। গাজীপুর থেকে হাজির হন হাফেজ ফরহাদ হোসেন। কবরে নামানোর সময় একবার দেখার জন্য অস্থির হয়ে উঠেছিলেন—এমন ভক্তের সংখ্যা গোনা যাচ্ছিল না।

নায়করাজকে কবরে নামান তাঁর তিন ছেলে ও শাকিব খান। কবরে মাটি দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় দোয়া। সেখানে রাজ্জাকের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার দাফন করার কথা ছিল নায়করাজকে। কিন্তু সবাই অপেক্ষা করে ছিলেন নায়কের মেজ ছেলে বাপ্পীর জন্য। আজ বুধবার ভোরে কানাডার টরন্টো থেকে ঢাকা পৌঁছান রাজ্জাকের মেজ ছেলে রওশন হোসেন বাপ্পী। বাবাকে দাফনের পর বাপ্পী কথা বলেন প্রথম আলোর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার আব্বার মৃত্যুতে সরকার যে অ্যারেঞ্জমেন্ট করেছে, সে জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী ও দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানাই। এটা একটা অবিশ্বাস্য ব্যাপার। এত মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা যে আমার আব্বা পেল, তা দেখে সন্তান হিসেবে আমি গর্ববোধ করছি। আমি আড়াই বছর দেশে ছিলাম না। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদাই করি যে শেষ পর্যন্ত আমি আসতে পেরেছি। আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই, আল্লাহ যেন তাঁকে বেহেশতে নসিব করেন।’

৫০ বছর ধরে এ দেশের মানুষ মাথায় করে রেখেছিল নায়করাজ রাজ্জাককে। আজ সবার ভালোবাসা নিয়েই চিরবিদায় নিলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *