মা হলো ১০ বছরের সেই শিশুটি!

Slider নারী ও শিশু

child-2-compressed-580x385

ধর্ষণের শিকার হয়ে গর্ভবতী হওয়া এবং আদালত কর্তৃক গর্ভপাত নিষিদ্ধ করা ভারতের ১০ বছর বয়সী সেই মেয়েটি মা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে চন্দিগরের একটি হাসপাতালে তার সন্তানের জন্ম হয়।

সদ্যজাত শিশু ও তার মায়ের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল আছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।

ভারতের চন্দিগরের এই শিশুর গর্ভপাত করা নিয়ে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞার পর ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছিল দেশ ও বিদেশের গণমাধ্যমে।

চন্দিগরের সরকারি একটি হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ এক চিকিৎসক বলেছেন, শিশুটি সি-সেকশনের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিয়েছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল।

ধর্ষণের শিকার এই শিশুটির চিকিৎসায় গঠিত হাসপাতালের বিশেষ কমিটির চেয়ারম্যান ডা. দাসারি হারিশ বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে সি-সেকশনের মাধ্যমে ছোট্ট ওই শিশুটি সন্তানের জন্ম দিয়েছে। সদ্যজাত শিশুর ওজন ২ দশমিক ২ কেজি এবং তাকে নিও নাটাল আইসিইউ’তে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ধর্ষিত শিশুটিকে নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও তার অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে এবং তাকে আলাদা কক্ষে রাখা হবে। সদ্যজাত শিশুটির ওজন সামান্য কম।

ভারতের উত্তরাঞ্চলের চান্দিগরের এই শিশু গর্ভবতী হয়ে পড়া ও তার গর্ভপাতের জন্য আদালতে আবেদন করা নিয়ে এর আগে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। সন্তান জন্মদান ঝুকিপূর্ণ হতে পারে উল্লেখ করে তার গর্ভপাতের আবেদন করা হলেও সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়। ভারতীয় আইন অনুযায়ী, ২০ সপ্তাহের বেশি গর্ভবতী হলে গর্ভপাতের সুযোগ নেই।

গত ২৮ জুলাই ৩২ সপ্তাহের গর্ভবতী এই শিশুর গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে করা এক পিটিশন প্রত্যাখ্যান করেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সেই সময় বলা হয়, সন্তান জন্মদানের কাছাকাছি রয়েছে সে। চিকিৎসকদের একটি প্যানেল আদালতকে পরামর্শ দিয়ে বলেছে যে, এই সময়ে গর্ভপাত করা হলে শিশুটির জীবন প্রচণ্ড হুমকির মুখে পড়বে। আদালতের ওই নির্দেশ হতাশ হয় শিশুটির পরিবার। তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে শিশুটি বৃহস্পতিবার এক সন্তানের জন্ম দিলো।

জানা যায, শিশুটিকে তার এক চাচা কয়েক মাস ধরে ধর্ষণ করে। এতে সে গর্ভবতী হয়ে যায়। বিষয়টি সামনে আসে যখন সে তার বাবা-মাকে পেটে ব্যাথার কথা জানায়। বাবা-মা তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ পায়। পুলিশ সেই ধর্ষককে আটক করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *