নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর থেকে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়েছে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সেই অস্থিরতার প্রভাব ভারতেও পড়তে চলেছে বলে আশঙ্কা করছেন প্রতিবেশি দেশটির বিশেষজ্ঞরা।
একটি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাত এবেলার খবর, শরিফের বিদায়ের ফলে পাকিস্তানে মাথাচাড়া দেবে সামরিক বাহিনীর শক্তি। পাশাপাশি তাদের সাহায্যে সন্ত্রাসবাদও শক্তিশালী হবে। ফলে বিপদ বাড়বে ভারতের।
খবরে আরও বলা হয়, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী সে দেশের সন্ত্রাসবাদকে মদত জোগায় বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ। ফলে যখনই সামরিক বাহিনীর শক্তি বাড়বে, তখনই জঙ্গিদেরও শক্তিবৃদ্ধি ঘটবে, এ কথাও সকলের জানা। আপাতত শরিফ সরে যাওয়ায় সে দেশের সামরিক বাহিনী ও সন্ত্রাসবাদীদের শক্তিবৃদ্ধি হবে, এ কথা ধরেই নেওয়া যায়।
১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে ভারতীয় হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা জি পার্থসারথী বলেছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলে পাকিস্তানের সামরিক শক্তি লাভবান হয়েছে। ফলে তাদের মদতে সন্ত্রাসবাদীরাও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে।
পার্থসারথী বলছেন, নওয়াজ শরিফ ক্ষমতায় থাকার অর্থ, অন্তত একজন রাজনীতিক ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি চাইছেন। কিন্তু তিনি না থাকায় সেনাবাহিনী স্বেচ্ছাচার চালাবে।
পার্থসারথীর সুর এক সময়কার পররাষ্ট্র সচিবের পদে থাকা ললিত মানসিংহ’র গলাতেও। তিনিও বলেন, পাকিস্তানের এই রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সেনাবাহিনীর শক্তিবৃদ্ধি করবে। যা ভারতের মাটিতে জঙ্গি কার্যকলাপ আরও বাড়াতে সাহায্য করবে।
একই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন এক সময় আমেরিকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূতের পদে থাকা মীরা শঙ্করও।
এখন দেখার বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে ভারতীয় সেনাবাহিনী আলাদা করে সীমান্তে নজরদারি বাড়ায় কি না।
সূত্র: এবেলা