হাফিজুল ইসলাম লস্কর, সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ হাওর এলাকা ও কুশিয়ারা নদীতে ব্যাপক হারে ধরা পড়ছে ‘সাদা সোনা’ খ্যাত গলদা চিংড়ি। প্রতিদিন দল বেধে লোকজন ধরছেন এ সাদা সোনা। এ চিংড়ি ধরতে ব্যবহার করছেন কাপড় জালের ফাঁদ ও বাশের তৈরি ফাঁদ। শুধু জেলেরা নয় গলদা চিংড়ি ধরে আয় করছেন নানাশ্রেণীর লোকজন। স্থানীয় ভাবে চাপ কমছে বেকার সমস্যায়।
জানাযায়, প্রতি রাতে গড়ে চল্লিশ মন গলদা চিংড়ি ধরা পড়ে। চিংড়ির আকার ভেদে ৬শ’/৮শ’ টাকা কেজি বিক্রি হয়।
একাধিক জেলেরা বলেন, এ চিংড়ি আল্লাহর রহমত না হলে এ বন্যার সময় উপোষ মরতে হত। জেলে আরব উল্লাহ জানান, সপ্তাহ দিন আগে ভোরে চিংড়ির চাই তুলতে গিয়ে চিংড়ি দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন! এত চিংড়ি দেখে তিনি ভূতুড়ে কান্ড ভেবেছিলেন!
পরে ঐ চিংড়ি বিক্রি করে ঘরের টিন কিনেছেন এ ছেলের পাসপোর্ট করার টাকাও দিয়েছেন।
রেল কলনির হুসেন জানান, আমরা জেলে নই নদীর ধারে ডুব দিয়ে হাতড়ে চিংড়ি ধরি তাও চার পাচ কেজি হয়ে যায়। এত চিংড়ি ধরা পড়লেও স্থানীয়রা এগুলো খুব কম পান।
ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেকে বলেন, শহরের বড় বড় পাইকাররা এসে গাড়ি ভরে চিংড়ি নিয়ে যান। আমরা স্থানীয়রা খেতে পাইনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ী জানান, সিলেট শহরে নামি হোটেলের জন্য এ চিংড়ি নিয়ে যান। তা ছাড়া চিংড়িগুলো তাজা ও সাইজ ও ভালো ৭/৮ টায় কেজি হয়। ক্রেতারা খুব পছন্দ করেন।
সিলেট ছাড়াও চিংড়িগুলো বরফজাত করে ঢাকা সহ বিভিন্ন শহরে পাঠান তিনি। তিনি বলেন আড়তের মত এত চিংড়ি আমি কোথাও দেখিনি।
সেই সাথে তিনি আরো বলেন, বন্যায় ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারের সড়ক ডুবে যাওয়ায় ফ্রীজিং ভ্যান আসছে না এটাই এখন বড় সমস্যা। দেখা যায় ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারের সড়ক রেখে দিয়ে লোকজন নৌকা করে প্রতিদিন ভোরে চিংড়িগুলো মল্লিকপুর খেয়া ঘাটে নিয়ে আসছেন ওখান থেকে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।