ঢাকা: আজ বৃটেনে ঐতিহাসিক পার্লামেন্ট নির্বাচন। এতে ভোট শুরুর আগে সর্বশেষ যে জরিপ করা হয়েছে সে অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ বড় বিজয় অর্জন করতে পারে। লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের পক্ষে এ জরিপ চালিয়েছে কমরেস (ComRes)। তাতে দেখা গেছে, করজারভেটিভরা জেরেমি করবিনের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টির চেয়ে শতকরা ১০ ভাগ বেশি সমর্থন পেয়েছে। ফলে ইন্ডিপেন্ডেন্ট লিখেছে, এই পূর্বাভাষ যদি যথার্থ হয় তাহলে ৭৪ আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয়ী হতে পারে কনজারভেটিভরা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের পর এত ব্যবধানে কখনো এ দলটি বিজয়ী হয় নি। তবে এক্ষেত্রে লেবার দলেরও উত্থান ঘটেছে। নির্বাচন ঘোষণার সময় কনজারভেটিভদের সঙ্গে তাদের ব্যবধান ছিল শতকরা ২৮ পয়েন্টে। এখন সেখান থেকে মাত্র ১০ পয়েন্টে চলে এসেছে। এর আগের এক জরিপে এই ব্যবধানতো শতকরা মাত্র এক পয়েন্টে এসে দাঁড়ায়। কিন্তু সেখান থেকে সর্বশেষ জরিপে ব্যবধান এসে দাঁড়িয়েছে শতকরা ১০ পয়েন্টে। নতুন এ জরিপ বলছে, লেবার দলের নেতা জেরেমি করবিন যেসব খাতে সেবা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তার তহবিল বা ব্যায়ের খাতে তিনি কতটা সফল হবেন তা নিয়ে জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে তিনি নিরাপত্তা পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দেবেন তা নিয়েও তাদের মধ্যে রয়েছে শঙ্কা। সর্বোপরি রয়েছে ব্রেক্সিট। কারণ, বৃটেনে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এটি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনকে বের করে আনতে যে সমঝোতা শুরু হয়েছে তাতে করবিনের সামর্থ নিয়ে বেশির ভাগ মানুষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জরিপে অংশগ্রহণকারী অনেকে আবার বৃটেনে মধ্যপন্থি নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনের কথা বলেছেন। শেষ দিনের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে, বিরোধী নেতা জেরেমি করবিন, লিবারেল ডেমোক্রেট নেতা টিম ফারন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কমরেস জরিপ বলছে, কনজারভেটিভদের সমর্থন করছেন শতকরা ৪৪ ভাগ ভোটার। লেবারদের সমর্থন রয়েছে শতকরা ৩৪ ভাগ। লিবারেল ডেমোক্রেটদের সমর্থন শতকরা ৯ ভাগ। ইউকিপের শতকরা ৫ ভাগ। গ্রিনস শতকরা ২ ভাগ। ইলেক্টরাল ক্যালকুলাস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মতে, প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে হাউজ অব কমন্সে ৩৬২ টি আসন পেতে পারেন। বর্তমানে তার দল সেখানে যে কয়টি আসন ধরে রেখেছে এ সংখ্যা তার চেয়ে ৩১টি বেশি। অন্যদিকে লেবার দল পেতে পারে ২১২ আসন। বর্তমানে তাদের যতগুলো আসন আছে তার চেয়ে এ সংখ্যা ২০টি কম। বলা হয়েছে লিবারেল ডেমোক্রেট ও স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি আসন হারাতে পারে। এমনটাই যদি হয় তাহলে ব্রেক্সিট ও অন্যান্য নীতি সামনে এগিয়ে নেয়া খুব সহজ হবে তেরেসা মে’র জন্য। আজ স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় শুরু হচ্ছে এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ।