কিংবদন্তি মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে বায়োগ্রাফি লিখছেন জোনাথান ইগ। তিনি এই বইতে একটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজছিলেন। তাহলো, গোটা ক্যারিয়ারে পারকিনসন্সে আক্রান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত মোহাম্মদ আলী কতগুলো ঘুষি খেয়েছেন? বড়ই কঠিন এক প্রশ্ন।
তবে বইতে উত্তর থাকবে। এটি প্রকাশের আগ পর্যন্ত অবশ্য জানতে পারছেন না পাঠকরা। যদিও একবার আলী নিজেই হিসাবটা কষেছিলন। তার হিসাবে বলা হয়, ২৯ হাজার ঘুষি খেয়েছিলেন ক্যারিয়ারে! এখানেও হিসাবে ঝামেলা রয়েছে। এর মধ্যে সম্ভবত মাথায় লাগা ঘুষির কোনো হিসাবে দেওয়া হয়নি। গোটা হিসাবটা মানুষকে হতভম্ব করে দেবে বলে মন্তব্য করেন ইগ।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাবেক কর্মী এবং লেখক ইগ তার জীবনের চার বছর ব্যয় করেছেন এই বইয়ের পেছনে। তিনি এমন এক মানুষকে নিয়েই বই লিখছেন যিনি কিনা এই গ্রহের সবচেয়ে বিখ্যাত ক্রীড়াবিদদের একজন।
কাজেই এটা হতে পারে সবচেয়ে বড় এবং সেরা এক বায়োগ্রাফি। ইগ জানান বলেন, সর্বকালের সেরা এক ক্রীড়াবিদের শ্রেষ্ঠ বায়োগ্রাফিটা লিখতে চাই আমি। বায়োগ্রাফি লেখার জন্য আলীর মতো এত আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব আর হতে পারে না।
জীবন কতগুলো ঘুষি খেয়েছিলেন তার সংখ্যা ইতিহাসে লেখা হবে। কম্পুবক্স পরিসংখ্যান, ভিডিও ও রেকর্ড নিয়ে গবেষণা করেছেন ইগ। এগুলো থেকেই হয়তো এক এক করে গুনে ঘুষির সংখ্যা গুনবেন। এখানে আলী কীভাবে পারকিনসন্সে আক্রান্ত হলেন এবং তার জীবনে এর প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত বক্তব্য থাকবে। থাকবে বিজ্ঞানীদের মতামত।