মনে আছে সালমানের এই নায়িকাকে?

Slider বিনোদন ও মিডিয়া

035527lucky_pic

 

 

 

 

২০০৪-২০০৫ সাল সময়টা ভাল যাচ্ছিল না সালমান খানের। ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে ব্রেকআপের পরে একটু বিধ্বস্তই ছিলেন মানসিক ভাবে। তার মধ্যেই চলছিল তাঁর প্রযোজনা সংস্থার নতুন ছবির প্রস্তুতি। নতুন নায়িকা খুঁজছিলেন সালমান। হঠাৎ করেই নজরে পড়ে যান মুম্বাইয়ের এক কলেজ ছাত্রী।

আর কী আশ্চর্য! ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সঙ্গে কী অদ্ভুত মুখের মিল সেই মেয়ের। স্নেহাকে পছন্দ হওয়ার অন্যতম কারণ কিন্তু ছিল এই মুখমণ্ডলের সাযুজ্য। ২০০৫ সালে মুক্তি পায় স্নেহার ডেবিউ ছবি ‘লাকি: নো টাইম টু লাভ’। ছবিতে সালমান খানের বিপরীতে, রাশিয়া-প্রবাসী এক ভারতীয় ছাত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেন স্নেহা।

এর পরে সোহেল খানের সঙ্গে আরও একটি ছবি করেন স্নেহা—‘আরিয়ান’। দ্বিতীয় ছবিটি একেবারেই চলেনি বলা যায় এবং তার পরে ২০০৭ সালে ‘জানে ভি দো ইয়ারো’-তে একটি স্পেশাল অ্যাপিয়ারেন্স ছাড়া বলিউডে নেহাতই মামুলি দু’একটি ছবি করেছেন। তাও শেষ তাঁকে হিন্দি ছবিতে দেখা গিয়েছিল ২০০৯ সালে।

হিন্দি ছবির দর্শকরা অনেকেই হয়তো ধরে নিয়েছেন যে ছবির জগৎ থেকে বিদায় নিয়েছেন তিনি। আদতে বিষয়টা একেবারেই তা নয়। স্নেহা বলিউডে পা জমাতে না পারলেও দক্ষিণী ছবিতে পেরেছেন। ২০০৮ সাল থেকে তিনি তেলুগু ছবিতে কাজ করে চলেছেন। একটি বাংলাদেশি ছবিতেও কাজ করেছেন। ছবির নাম ‘মোস্ট ওয়েলকাম’।

কিন্তু গত চার বছর তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে বেশ বড়সড় ব্রেক নিয়েছেন। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, অটো ইমিউন ডিসঅর্ডারে ভুগছিলেন স্নেহা। ৩০-৪০ মিনিটের বেশি দাঁড়িয়ে থাকতে পারতেন না। এই অসুস্থতা নিয়েই ছবির শ্যুটিং করছিলেন। বিষয়টা হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় শেষমেশ অভিনয় বন্ধ করে পুরোপুরি গৃহবন্দি হয়ে পড়তে হয় তাঁকে। তার পর টানা চার বছরের ব্রেক।

আপাতত সুস্থ হয়ে তিনি ফিরছেন আবার কাজে। সামনেই একটি তেলুগু ছবির শ্যুটিং। তবে হিন্দি ছবিতে কি আবারও তাঁকে দেখা যাবে? সেটা অবশ্য সময়ই বলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *