এএসআই হুমায়ূন হত্যায় স্ত্রীসহ দুই জনের মৃত্যুদণ্ড

Slider বাংলার আদালত সারাদেশ

202335kalerkanrtho_pic

 

 

 

 

রাজধানীর শাহআলী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হুমায়ূন কবির হত্যা মামলায় তাঁর স্ত্রীসহ দুইজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নিহতের স্ত্রী রহিমা সুলতানা রুমি ও তার বন্ধু মিষ্টি। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন মোছা. রিয়া। তাকে যাবজ্জীবনের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক আবদুর রহমান সরদার এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার আগে এ মামলায় কারাগারে থাকা একমাত্র আসামি নিহতের স্ত্রী রুমিকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রুমি ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে সিনিয়র নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অন্য দুইজন জামিন পাওয়ার পর পলাতক হন।

বিচার চলাকালে চার্জশিটের ১৪ জনের মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হযেছে। ২০১৫ সালের ১৪ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ২০১৪ সালের ২০ জুলাই মিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাইনুল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন।

চার্জশিটে বলা হয়, ঘুমের ইনজেকশন দেয়ার পর হুমায়ূন কবিরকে হত্যা করে তার স্ত্রী। তাকে সহযোগিতা করে দুইজন। হুমায়ূন কবিরের সঙ্গে এক নারীর পরকিয়া থাকায় তাকে হত্যা করা হয় বলে জবানবন্দিতে রুমি জানিয়েছিলেন। মামলার পর নিহতের স্ত্রী রুমি, তার সহযোগী মো. রাফা এবং তার স্ত্রী রিয়াকে আটক করা হয়। রুমি মামলায় দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, হুমায়ুন কবির ও রহিমা সুলতানা রুমি একে অপরকে ভালবেসে ২০০৮ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ লেগেই ছিল। পারিবারিক কলহের জের ধরে মিরপুরের বাসায় রুমি ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর তার স্বামী হুমায়ুনকে ইনজেকশনে বিষ প্রয়োগ করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বজলুর রশিদ বাদী হয়ে মিরপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *