খানিক আগে প্যালে দো ফাস্তিভালে দেখা পেয়েছি তাঁর। এবারে দ্বিতীয় দফায় অপেক্ষা। পাঁচ মিনিটও অপেক্ষা করতে হলো না। কান সৈকতের অস্থায়ী তাঁবুতে দেখা দিলেন ঐশ্বরিয়া।
ভাগ্যবান জনা পঁচিশেক দর্শক ততক্ষণে পাগলপারা। দেহরক্ষীদের কাজটা নিমেষে কঠিন হয়ে গেল। ভিড় মোটামুটি সামাল দেওয়ার পর মাইক্রোফোন হাতে নিলেন ঐশ্বরিয়া। বললেন, ‘দেবদাস আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ছবি। এই ছবির সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমার বহু মূল্যবান স্মৃতি। কারণ এর সুবাদেই আমি প্রথমবার কান উৎসবে এসেছিলাম।’
প্রদর্শনী শুরু হলো। পর্দায় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দেবদাস-এর বলিউড রূপ দেখছি। কান সৈকতে তখন নামছে সন্ধ্যা। সেই কবে ছবিটা দেখেছিলাম। এবার আরও একবার দেখে মনে হলো সঞ্জয় লীলা বনশালির দেবদাস বাংলারও। এই ছবিতে ঐশ্বরিয়ার সংলাপের বহু জায়গাজুড়ে আছে বাংলা শব্দ। শতভাগ বাংলায় বলা ‘সত্যি!’ অথবা ‘ইশশ!’ নিশ্চয়ই মনে আছে ভক্তদের।
কান উৎসবের আনুষ্ঠানিক আয়োজনের বাইরে দেবদাস-এর এই প্রদর্শনী হয়তো তেমন কিছু হয়ে উঠত না। কিন্তু সৈকতে ছবি দেখার অভিজ্ঞতা অসাধারণ বানিয়ে দিলেন ঐশ্বরিয়া রাই স্বয়ং।
ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে ‘দেবদাস’ দর্শন
ঢাকা:ফরাসি প্রসাধনী প্রস্তুতকারক ল’রেলের আয়োজনে ফরাসি দেশের কান সৈকতে ছোট্ট একটা আয়োজন। বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের প্রিয় একটি ছবির প্রদর্শনী। পছন্দের ছবি হিসেবে ঐশ্বরিয়া বেছে নিয়েছেন দেবদাস। সেই সূত্রেই ঐশ্বরিয়াকে আরও একবার কাছ থেকে দেখার সুযোগ।