ব্যুরো চীফ
শ্রীপুর অফিস: শ্রীপুর উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের হায়াতখারচালা গ্রামের আশরাফুল কানাডার রাজধানী অটোয়াতে অনুষ্ঠিত ’যেহেতু আমি একজন মেয়ে শীর্ষক’ ৭ দিন ব্যাপি সপ্তম বার্ষিক কারিগরি গোল টেবিল বৈঠক ২০১৪ শেষে ১০ নভেম্বর দেশে ফিরেছেন। তিনি আমাদের গৌরব। অহংকার।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের কানাডা অফিস ও বৈদেশিক বানিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক বিভাগ উক্ত বৈঠকের আয়োজন করে। বেঠকে বাংলাদেশের আশরাফুল,জিম্বাবুয়ে,জাম্বিয়া ও কানাডিয়ান সরকারী কর্মকর্তা,গবেষক,দাতা গোষ্ঠি,নাগরিক সমাজসহ বিভিন্নœ দেশের শতাধিক যুব প্রতিনিধিরা অংশ নেয়।
যুব কর্মী হিসেবে শিশু বিয়ে বন্ধ,নারী অধিকার,নারী নির্যাতন ও নরী-পুরুসের বৈষম্য দূর করতে আশরাফুল দেশের নিজ এলাকায় তার ভূমিকা ও কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন ওই বৈঠকে। আশরাফুলের ছোট বোনের শিশু বিয়ের গল্প দিয়েই তার বক্তব্য শুরু করে। পরে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের গাজীপুর পোগ্রাম ইউনিট কর্তৃক পরিচালিত শিশু সংগঠনের সদস্য হয়ে ২০০৫ সাল থেকে,শিশু বিয়ের কুফল,শিশু ও নারী নির্যাতন,নারীর অধিকার এবং নারী-পুরুষের বৈষম্যরোধে সে নিজ এলাকার কর্মকান্ড নিয়ে বক্তব রাখে। বৈঠকে দেশের সমাজ উন্নয়নে ও শিশু বিয়ে বন্ধে উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা রাখায় আশরাফুলকে পরিবর্তনের রুপকার হিসাবে আখ্যা দেয়া হয়।
অটোয়াতে গোল টেবিল বৈঠক ছাড়াও সে কানাডার বৈদেশিক বানিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক বিভাগের মহা পরিচালক মিড সারাহ ফাউন্টেইন স্মিথের সাথে কথা বলেন।
আশরাফুল শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্মান ১ম বর্ষের ছাত্র। সে গোসিঙ্গা ইউনিয়নের শিশু সুরক্ষা দলের সভাপতি ও হায়াতখারচালা সানফ্লাওয়ার শিশু ক্লাবের সাবেক সভাপতি এবং হায়াতখারচালা গ্রামের হোসেন আলী ও খোরশেদা বেগমের সন্তান।
গোসিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার আসাদুজ্জামান জনান,আশরাফুলের ঐকান্তিক চেষ্টায় তিনি উক্ত ইউনিয়নকে শিশু বিয়ে মুক্ত ইউনিয়ন হিসেবে ঘোষনা করেন। আশরাফুল গোসিঙ্গা তথা দেশের গৌরব।