ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
বাগেরহাট: বাগেরহাটের ফকিরহাটে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় মাইক্রোবাসের যাত্রী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সাত সদস্য নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ২০মিনিটে খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের উপজেলার ত্যৈয়ব আলী বটতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- খুলনার রায়েরমহল এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা ছাত্তার আলীর পরিবারের দুই শিশু, তিন জন নারী ও দুই জন পুরুষ সদস্য।
তাদের মধ্যে মাইক্রোবাসের চালক সৈয়দ মনিরুল ইসলামের নাম জানা গেছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরো ৩০ জন। আহতদের ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরের পর থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টির কারণে রাস্তা পিচ্ছিল ছিলো। সন্ধ্যায় বাগেরহাটের চিতলমারী থেকে খুলনাগামী একটি মাইক্রোবাস মাওয়া মহাসড়কের ফকিরহাটের তৈয়বের বটতলা এলাকায় পৌঁছালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মাদারীপুরগামী রুপসী পরিবহনের যাত্রবাহী বাসের সঙ্গে বটতলা এলাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের চালক সৈয়দ মনিরুল ইসলামসহ সাত জন ঘটনাস্থলে মারা যান। গুরতর আহত চার জনকে ফকিরহাট হাসপাতালে নিলে দুই জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মাইক্রোবাসটি পরিবহনের নিচে আটকে গিয়ে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়ায় বাগেরহাট, পিরোজপুর ও খুলনার সাথে মাওয়া মহাসড়ক হয়ে ঢাকাগামী সকল যোগাযোগ সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়।
নিহতরা বাগেরহাটের চিতলমারীতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে খুলনায় ফেরার পথে এ দুর্ঘটনার শিকার হন বলে জানিয়েছে বাগেরহাট ট্রাফিক বিভাগের ওসি (টিআই) আব্দুল হালিম।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে স্থানীয় জনগণ, বাগেরহাট হাইওয়ে পুলিশ, ফকিরহাট থানা পুলিশ ও বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি উদ্ধারকারী ইউনিট উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে।
দুর্ঘটনার পর মহাসড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে মহাসড়কের দু পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান ওসি।