এসএসসির ফল ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে দুপুর ২টায়

Slider জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

1253077_kalerkantho_pic

 

 

 

 

২০১৭ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ওয়েবসাইটে দুপুর ২টায় প্রকাশ হবে। একই সময় ফলাফল মোবাইল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও পাওয়া যাবে। এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বৃহস্পতিবার বেলা ১০ টার দিকে তিনি গণভবনে সরকারপ্রধানের কাছে ফলাফল তুলে ধরেন। প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, এবার পাশের হার ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির তথ্য অনুযায়ী, এবার প্রাপ্ত গ্রেড নাম্বারের পাশাপাশি বিষয়ভিত্তিক নাম্বারও জানতে পারবেন ফলপ্রার্থীরা। মোবাইল থেকে ফলাফল জানতে এসএমএসের মাধ্যমে SSC/DAKHIL লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখতে হবে।   এরপর স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৭ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে ফল জানা যাবে।

এ ছাড়া শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট (http://www.educationboardresults.gov.bd) থেকেও পরীক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবেন। এদিকে আগামী ৫ মে থেকে ১১ মে পর্য ন্ত এসএসসির ফলাফল যাচাই করা যাবে। এজন্য টেলিটক সিম থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে। ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে RSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফি বাবদ কত টাকা কেটে নেওয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর (পার্সোনাল আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) দেওয়া হবে।

আবেদনে সম্মত থাকলে RSC লিখে স্পেস দিয়ে YES লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। প্রতিটি বিষয় ও প্রতি পত্রের জন্য ১২৫ টাকা হারে চার্জ কাটা হবে। যে সব বিষয়ের দুটি পত্র (প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র) রয়েছে, যে সকল বিষয়ের ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করলে দুটি পত্রের জন্য মোট ২৫০ টাকা ফি কাটা হবে। একই এসএমএসে একাধিক বিষয়ের আবেদন করা যাবে, এক্ষেত্রে বিষয় কোড পর্যায়ক্রমে কমা দিয়ে লিখতে হবে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়ে লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় ২ মার্চ। এ ছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষা ৪ মার্চ শুরু হয়ে শেষ হয় ১১ মার্চ। এ বছর ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৩ হাজার ২৩৬টি কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৩৪৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৯ লাখ ১০ হাজার ৫০১ জন ও ছাত্রী ৮ লাখ ৭৬ হাজার ১১২ জন। নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৭ হাজার ১২৪ জন। এ ছাড়া অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৭৬ হাজার ১৯৮ জন এবং বিশেষ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ২৯৮ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *