গায়ের রঙ বা পণের জন্য বিয়ে ভেঙে যায়, এমন উদাহরণ আশেপাশে দেখা যায়। কিন্তু সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে এক সৎ, সুদর্শন পাত্রর বিয়ের প্রস্তাব ফেরালেন এক যুবতী। কারণটা জানলে তাজ্জব হতে হয়! উত্তরপ্রদেশের মইনপুরিতে ওই যুবতীর সঙ্গে এক ব্যক্তির বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। কিন্তু পাত্র সাম্প্রদায়িক শব্দের বানান লিখতে না পারায় মাঝপথেই বিয়ের কথাবার্তা থামিয়ে তাঁকে চলে যেতে বলেন ওই যুবতী। খবরটি জানিয়েছে নবভারত টাইমস।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দৃষ্টিকোণ, সাম্প্রদায়িকসহ আরও কয়েকটি হিন্দি শব্দের শুদ্ধ উচ্চারণ ও বানান না জানায় ওই যুবতী বিয়ের কথাবার্তা আর এগোতে চাননি। যখন প্রতিবেশীরা এই খবর জানতে পেরে দুই পরিবারকেই ফের বিয়ের আলোচনার জন্য রাজি করাতে যায়, কোনওপক্ষই আর কথা শুনতে চাননি। জানা গিয়েছে, ফেল করা যুবকের বাড়ি ফারাক্কাবাদে। তিনি সিনিয়র সেকেন্ডারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। আর যে যুবতী তাঁর বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন, তিনি নাকি পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন।
গত সোমবার মইনপুরির নুমারিশ গ্রাউন্ডে পাত্র ও পাত্রীর পরিবারের মধ্যে বৈঠক হওয়ার দিনক্ষণ স্থির হয়। সেই বৈঠকে ওই যুবক একটি ডায়েরি বার করে হবু পাত্রীকে কয়েকটি শব্দ লিখে দেন। পাত্রী নাকি সবকটি বানানই ঠিক লেখেন। এবার ওই যুবতী পাল্টা কয়েকটি শব্দ লিখতে দেন ওই ব্যক্তিকে। যার মধ্যে সাম্প্রদায়িক, দৃষ্টিকোণ, পরিশ্রম-এর মতো শব্দ ছিল। কিন্তু পাত্রটি সবকটির বানানই ভুল লেখেন। এমনকী, নিজের বাড়ির ঠিকানাও। এই ঘটনায় বেজায় চটে ওই যুবতী তাঁকে বিয়ে করবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন। এই ঘটনায় গ্রামে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।