গোপালগঞ্জে শিক্ষক-শিক্ষিকার অনৈতিক সম্পর্ক : দীর্ঘ দিন ধরে চলছে এ নোংরামী

Slider খুলনা শিক্ষা সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

Gopalgonj Photo-2

 

 

 

 
এম আরমান খান জয়,গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চর বয়রা ঘোনাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী ইংরেজী শিক্ষক তরুন কান্তি বিশ্বাস ও হিন্দু ধর্মের শিক্ষিকা রিনা রাণী ভক্তের মাঝে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মনিরুল ইসলামের বরাবরে প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পৃথক পৃথক ভাবে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তরুন কান্তি বিশ্বাস ও রিনা রাণী ভক্ত ওই দুই শিক্ষকের মাঝে দীর্ঘ দিন যাবত অনৈতিক সম্পর্ক চলে আসছে। বিষয়টি ওই বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী এমনকি এলাকাবাসীও টের পায়। তাদের কথা-বার্তা, আচার-আচরন, মেলামেশা সব কিছু দিনকে দিন অশ্লিলতায় রূপ নেয়।
সম্প্রতি ওই দুই শিক্ষক বিদ্যালয় চলাকালিন সময়ে শিক্ষক মিলনায়তনে প্রকাশ্যে অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় এরই এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে অশ্লিল নোংরামীর সৃষ্টি হয়। তারা একে অপরের শরীরের পোষাক ছিড়ে ফেলে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। বিষয়টি ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা টের পেয়ে এবং তাদের কর্মকান্ড গুলি পর্যবেক্ষণ করে প্রধান শিক্ষককে জানায়। পরে প্রধান শিক্ষক ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের শান্ত করে।
এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মনিরুল ইসলাম বলেন, ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অশ্লিলতা ও নোংরামীর অভিযোগ দীর্ঘ দিনের তবে আমি বিষয়টি কখনো আমলে নেইনি, কারন শুনা কথায় আমি কান দেই নাই। কিন্তু সম্প্রতি বিদ্যালয় চলাকালিন সময়ে তাদের মাঝে ঘটে যাওয়া অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি আমাকে বির্বত করেছে। এ বিষয়ে আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে ইতিমধ্যে সকল বিষয় সম্পর্কে অবহিত করেছি।
এ ব্যাপারে সহকারী প্রধান শিক্ষক সোমেশ সরকার বলেন, শিক্ষক তরুন কান্তি বিশ্বাস ও শিক্ষিকা রিনা রাণী ভক্ত এই দুই শিক্ষকের মাঝে সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের, এ নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও অনেক সময় প্রতিবাদ করেছে। আমি বিষয়টি ওই দুই শিক্ষককে ডেকে অনেক বার বুঝিয়েছি। এই সব কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য অনুরোধও করেছি। কিন্তু তারা বিষয়টিকে বিভিন্ন ভাবে এড়িয়ে গেছেন।
এ ব্যাপারে শিক্ষক তরুন কান্তি বিশ্বাসের সাথে কথা হলে তিনি বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা।
এ ব্যাপারে শিক্ষিকা রিনা রাণী ভক্তের সাথে অনেক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন অভিবাবক বলেন, সন্তানকে বিদ্যালয়ে পাঠাই ভাল শিক্ষায় শিক্ষতি হয়ে মানুষ হওয়ার জন্য। কিন্তু বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকার অশ্লিল কার্যকলাপ আমাদের সন্তানদের কি শিখাবে ? দীর্ঘ দিন ধরে ওই শিক্ষকদের নানা নোংরামীর ঘটনা শুনে এসেছি। এলাকা জুড়ে তাদের নিয়ে হাসি ঠাট্রাও হয়। আমরা অভিবাবকরা বিভিন্ন সময় ওই দুই শিক্ষকদের তাদের নিয়ে সমালোচনার বিষয়টি জানিয়েছি। অথচ তারা উল্টা পাল্টা গাল মন্দ করে।
এলাকার সচেতন মহল ও অভিবাবকরা দাবি করেন শিক্ষক তরুন কান্তি বিশ্বাস ও শিক্ষিকা রিনা রাণী ভক্তর মত শিক্ষকের কাছে ভাল শিক্ষা তাদের সন্তানেরা পাবে না। তাই তাদেরকে বিদ্যালয় থেকে অপসারন করাটাই শ্রেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *