গতবার আইপিএলের দল গোছানো শেষে অনেকে মন্তব্য করেছিলেন, এ তো ভারী অন্যায়। এই সময়ের সেরা তিন বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানই কিনা এক দলে! বিরাট কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্স আর ক্রিস গেইল। একজনের ঝড়ই যেখানে সামলানো যায় না, তিন তিনটি টর্নেডো কীভাবে সামলাবে দলগুলো!
তবে এখন পর্যন্ত আইপিএল বলছে, অধিক ঝোড়ো ব্যাটসম্যানে গাজন নষ্ট হয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। ১০ ম্যাচের মাত্র দুটিতে জেতা বেঙ্গালুরুর পরের রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কাল এবারের আসরে নিজেদের সপ্তম পরাজয় দিয়ে এক রকম ছিটকে গেল তারা। রাইজিং পুনে সুপার জায়ান্টদের ১৫৭ রানে আটকে ফেলেও নিজেরা তুলতে পারল মোটে ৯৬ রান।
এবারের আইপিএলে দুটি ইনিংস ১০০-র নিচে ছিল। দুটিই বেঙ্গালুরুর, কোহলি-এবি-গেইলদের বেঙ্গালুরু! ২৩ এপ্রিল কলকাতাকে ১৩১ রানে বেঁধে ফেলে নিজেরা অলআউট হয়েছিল ৪৯ রানে! ৫৮ বলে অলআউট পুরো দল! পরের ম্যাচটা ভেসে গেল বৃষ্টিতে। এরপর ২৭ এপ্রিল গুজরাট লায়নসের বিপক্ষে ৬০ রান তুলতেই প্রথম ৫ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলেছিল তারা। কাল একা কোহলি করলেন ৫৫ রান। বাকি ৯ ব্যাটসম্যানের কেউ দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। এই ১০ জন মিলে তুলেছেন ৩৭ রান! ৯ উইকেটে ৯৬ রানে শেষ হয়ে গেল ২০ ওভার।
বেঙ্গালুরুর ঝড় তোলার কথা ছিল। অথচ তারাই যেন মরুঝড়ে পথ হারানো কাফেলা!
এর কারণ কী? এখন পর্যন্ত দলটা থিতু হতে না পারা। যেন নিজেদের একাদশই খুঁজে পাচ্ছে না কোহলির দল। যার মূল দায়টা নিতে হবে এই তিনজনকেই। বিশেষ করে গেইল ও এবিকে। চোট সেরে ফেরা কোহলি তবু ছয় ম্যাচের তিনটিতে ফিফটি করেছেন। ৮৯ রানের ইনিংস দিয়ে শুরু করা ডি ভিলিয়ার্স এরপর ৫ ইনিংস মিলে করেছেন ৬৪ রান। গেইল মাঝখানে ৩৮ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেললেও বাকি ৫ ইনিংসে করেছেন ৫৭ রান। কোহলিও কিন্তু ৬ ম্যাচের তিনটিতে ছিলেন ফ্লপ!
খেলাটা টি-টোয়েন্টি হলেও আরও একবার প্রমাণ হলো, ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের চেয়ে দল হয়ে খেলাটাই আসল। বেঙ্গালুরু যেটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।