লাকী আখান্দর মৃত্যুতে মন্ত্রিসভায় শোক

Slider জাতীয় বিনোদন ও মিডিয়া সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী
1601051_kalerkantho_pic
কিংবদন্তি গীতিকার ও মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখান্দর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ শোক প্রস্তাব করা হয়। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে লাকী আখান্দ গত ২১ এপ্রিল ঢাকার আরমানিটোলার নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদসচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, মুক্তিযোদ্ধা ও জনপ্রিয় গীতিকার লাকী আখান্দর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে মন্ত্রিসভা। লাকী আখান্দর মৃত্যুতে দেশের সংগীতাঙ্গনে অপূরণীয় শূন্যতা সৃষ্টি হলো, বলেন সচিব।

তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা শোক প্রকাশ করে এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে। লাকীর কর্মময় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, ১৯৫৬ সালে ঢাকার আরমানিটোলায় জন্মগ্রহণ করেন লাকী আখান্দ। তিনি শিশু বয়সেই রেডিও শিল্পী হিসেবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে মাত্র ১৫ বছর বয়সে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগদান করেন। কিংবদন্তি এ সংগীতশিল্পীর সুরারোপিত গান মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ করত, আমরাও শুনেছি ওই সময়ে। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে দেশের সংগীতের নতুন ধারা প্রবর্তনের লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন এ শিল্পী। আশির দশকে সারগামের ব্যানারে প্রথম অ্যালবাম প্রকাশিত হয় লাকী আখান্দর।

তার উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে, স্বাধীনতা তোমাকে নিয়ে, এই নীল মণিহার, আবার এল যে সন্ধ্যা, কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে, আমায় ডেকো না, আগে যদি জানতাম, মা মনিয়া, লিখতে পারি না কোন গান, রীতিনীতি জানি না ইত্যাদি। এগুলো খুবই জনপ্রিয় গান, ওনার লেখা ও সুর করা। তিনি দেড় হাজারের বেশি গানে সুরারোপ করেন এবং বাংলা গানে এক নতুন ধারার সূচনা করেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব। ১৯৮০ সালে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকিরের ঘুড্ডি চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনায় বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন এ শিল্পী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *