দাদাকে সড়িয়ে সৌদির নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত

Slider সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী সারাবিশ্ব

image-75946-1492933388

 

 

 

 

 

 

মার্কিন নগরীতে গত একবছর ধরে প্রিন্স খালেদের দাদা প্রিন্স আব্দুল্লা বিন ফয়জল বিন তুর্কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তাকে সরিয়ে গতকাল শনিবার প্রিন্স খালেদকে ওই পদে বসান সৌদি কর্তৃপক্ষ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হলেন প্রিন্স খালেদ বিন সালমান। সৌদি আরবের রাজা সালমান বিন আব্দুলাজিজ আল সৌদের ছেলে তিনি। এতদিন সেনাবাহিনীর পাইলট ছিলেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতেই এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রিয়াদ। অশোধিত তেলের বাজারে আধিপত্য বজায় রাখতে আমেরিকার সঙ্গে বরাবরই বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল সৌদি আরবের। কিন্তু বারাক ওবামার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তাতে ছেদ পড়ে। বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি ওবামা প্রশাসন। বরং তাদের সৌদির চির শত্রু ইরানের সমর্থনে গলা চড়ায়। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর পরিস্থিতি বদলেছে। জানুয়ারিতে ক্ষমতায় এসেই ‘‌ইরান মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে’‌ বলে মন্তব্য করেন তিনি। ইয়েমেনে তেহরান মদতপুষ্ট বিদ্রোহীদের দমন করতে গুপ্তচর লাগিয়ে সৌদি আরবকে সাহায্য করছে ট্রাম্প প্রশাসন। অস্ত্রশস্ত্র জুগিয়ে সাহায্য করছে সৌদি নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীকেও।

এছাড়া ইরাক এবং সিরিয়ায় আইএস–এর বাড় বাড়ন্ত রুখতে সৌদি আরবেই ঘাঁটি গেড়েছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী। তাই নতুন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিতে চাইছেন রাজা সালমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *