ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগে ফার্মের মুরগি ঢুকেছে। ফার্মের মুরগির কারণে দেশি মুরগি কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। দেশি মুরগি দরকার, ফার্মের মুরগি নয়। ফার্মের মুরগি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। চারদিকে আতি নেতা, পাতি নেতায় ভরে গেছে। তবে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করা চলবে না। তাহলে কাউকে ক্ষমা করা হবে না। দেশ বাঁচাতে হলে, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে।’
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না বলে ১৭ এপ্রিল পালন করে না। অবশ্য তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে কি না, সে সন্দেহ পোষণ করেন তিনি। তিনি বলেন, বিএনপি এখন নালিশ পার্টিতে পরিণত হয়েছে। যাকে পায় তার কাছে সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ করতে থাকে। তারা চোরাবালিতে আটকে গেছে।
বিএনপির মধ্যে ‘ভারত জুজু’ কাজ করছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সর্বোচ্চ সম্মান জানিয়েছেন, এতেই তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। বিএনপির মরা গাঙে আর পানি আসবে না। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে তিস্তা চুক্তির বিষয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। মাথাব্যথা হচ্ছে শেখ হাসিনার প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা নিয়ে।’
জনসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ২০১৯ সালের সংসদ নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওবায়দুল কাদের, মোহাম্মদ নাসিমসহ আওয়ামী লীগের নেতারা মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর আম্রকাননে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সেখানে গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন তাঁরা। অভিবাদন শেষে আনসার-ভিডিপির একটি দল ‘হে তারুণ্য রুখে দাঁড়াও’ শিরোনামে গীতিমাল্য উপস্থাপন করে। বেলা পৌনে ১১টার দিকে শেখ হাসিনা মঞ্চে শুরু হয় আলোচনা সভা।