বাস কন্ডাক্টরের কাছে সিনেমার টিকিট চেয়েছিলেন টেন্ডুলকার!

Slider খেলা বিনোদন ও মিডিয়া সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

88379c9876ea2ecb1d1c9a8589ee2776-58f1b913d2ae3

 

 

 

 

 

 

 

শচীন টেন্ডুলকারের বয়স তখন তিন। তাঁর পুরো পরিবার একসঙ্গে ধর্মেন্দ্র অভিনীত একটি ছবি হলে গিয়ে দেখার পরিকল্পনা করল। বাসে করে তাঁরা যখন সিনেমা হলে যাচ্ছেন, তখন টেন্ডুলকার এক কাণ্ড করে বসলেন। বাসের কন্ডাক্টরের কাছে গিয়ে চেয়ে বসলেন সিনেমার টিকিট। কন্ডাক্টর যেহেতু যাত্রীদের কাছ থেকে পয়সা নিয়ে টিকিট দিচ্ছিলেন, তাই টেন্ডুলকারের মনে হয়েছিল, তিনি সিনেমার টিকিটও দেন। লিটল মাস্টারের জীবনের এমন অনেক ঘটনা নিয়ে তৈরি হয়েছে ছবি—‘শচীন: আ বিলিয়ন ড্রিমস’। তাঁর ক্রিকেট জীবনের অজানা এমন অনেক কিছু আছে এই ছবিতে, যা তাঁর ভক্তরা জানতেন না!
তবে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার আগে খুব দুশ্চিন্তায় আছেন টেন্ডুলকার। তাঁর অনুভূতিটা নাকি ১৯৯০ সালে ক্যারিয়ারে প্রথম সংবাদ সম্মেলন করার সময়ের মতো। এই উৎকণ্ঠার কথা টেন্ডুলকার জানিয়েছেন নিজেই, ‘১৯৯০ সালে আমি যখন আমার আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরিটি করি, তখন যেমনটা মনে হয়েছিল, ছবি মুক্তি পাওয়ার আগে আমার অনুভূতিটা ঠিক তেমনিই। সে সময় আমার সংবাদ সম্মেলন সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না। ড্রেসিংরুমের প্রায় সবাইকে জিজ্ঞেস করেছিলাম ব্যাপারটা কীভাবে করতে হয়। আমাকে যে প্রশ্নগুলো করা হবে, সেগুলো নিয়ে আমি খুবই উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলাম। ২৪ বছর ধরে সবাই আমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছেন, সেটা আমি কোনো দিন ভুলব না। এই ছবিতে ক্রিকেটীয় বিষয়ের বাইরে আমার জীবনের অনেক কিছুই দেখানো হবে। আমি কখনোই ভাবিনি, আমার জীবনে এমন কিছু ঘটবে।’
টেন্ডুলকারের জীবনে এটি একটা নতুন অভিজ্ঞতা, ‘আমি কেবল ভারতের হয়ে খেলতে চেয়েছিলাম। স্বপ্নটা শুরু হয়েছিল ১০ বছর বয়সে। আমি বিশ্বকাপ জিততে চেয়েছিলাম। হাজার হাজার মানুষের সামনে বিশ্বকাপ জিততে চেয়েছিলাম। আম এই ছবিতে জেমস এরসকাইনের সঙ্গে কাজ করেছি। এটা নতুন এক অভিজ্ঞতা। জেমসের অভিজ্ঞতার ভান্ডার অনন্য। এই ছবিতে আমার জীবনের এমন কিছু দেখানো হয়েছে, যেটা খুব বেশি কেউ জানে না। এখানে কিছু ব্যক্তিগত ঘটনা ও ব্যক্তিগত পর্যায়ের কিছু মানুষের সংস্পর্শে আসার ব্যাপার আছে। ছবির প্রযোজক রবি ভাগচান্দকা আমার খুব ভালো বন্ধু। আমি আসলে গোটা বিষয়টায় মুগ্ধ ও আনন্দিত।’
দর্শকেরাও ছবিটি দেখে দারুণ আনন্দ পাবেন বলে আশা করছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান, ‘আমি দর্শকদের আনন্দটা মাটি করতে চাই না। তবে এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি, আমার জীবনের অনেক ঘটনাই এই ছবিতে ক্যামেরার মাধ্যমে ধরা আছে।’ সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *