জেলার কাপাসিয়ায় হরিমঞ্জুরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রচ- গরমে ২০ ছাত্রী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এরপর স্কুলটি দুই দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে তাদের অসুস্থতার বিষয়টি গুরুতর কিছু নয় বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার সকাল পৌণে ১১টার দিকে পাঠদানের সময় ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীরা একের পর অসুস্থ হয়ে পড়ে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মালেক জানান, সোমবার (১০ এপ্রিল) ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ৩ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরে মঙ্গলবার আবারো ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পাঠদানের শুরুতে ছাত্রীরা অস্থির ও বমি বমি ভাব এবং মাথা ঘোরানোর কথা জানায়। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ২০ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে যায়। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, অসুস্থ কয়েক শিক্ষার্থীকে অভিভাবকরা স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্র ও ক্লিনিকে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর সবাই সুস্থ আছে বলেও জানা গেছে। এদিকে ওই বিদ্যালয় মঙ্গলবার ও বুধবারে জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হাসান জামিল জানান, প্রচ- গরম থেকে ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমি বিদ্যালয়ে গিয়ে ১৭ শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। এ রোগের নাম মেস সাইকোজেনিক ডিজঅর্ডার। মাথা ঝিম ঝিম, শ^াস কষ্ট, অস্থির ও বমি বমি ভাব এবং মাথা ঘোরানো এই রোগের লক্ষণ। মূলত একজনের পরিস্থিতি দেখে অপরজনেরও মানসিক দুর্বলতায় এরকম হয়ে থাকে। তাদের মধ্যে টেনশন কাজ করে। আতংক বা ভয়ে শুধু ছাত্রীরাই এমনভাবে অসুস্থ হয়। এ নিয়ে আতংকের কিছু নেই। প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেই এ ধরণের রোগীরা সুস্থ হয়ে যায়।
তিনি জানান, এ রোগে আক্রান্ত হলে রোগী চোখ বন্ধ করে পরে থাকে দেখে মনে হয় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে, আসলে তা নয়। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা শেষে এ রোগ হলে কী করণীয় সে সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছে। যাতে করে পরবর্তীতে এ রোগের পূর্বাবাস বুজতে পারে শিক্ষার্থীরা।
কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাকসুদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনা শুনে আমি, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রকিব হাসান ও কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হাসান জামিল বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। এবং মেডিকেল অফিসার নিজে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দিয়েছেন। বিদ্যালয় আজ এবং আগামিকাল বুধবারের জন্য ছুটি ঘোষণার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।