আওয়ামী লীগে ‘কাউয়া’ ঢুকেছে: কাদের

Slider ফুলজান বিবির বাংলা রাজনীতি সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী সিলেট

01880e132120b12437fb66060cc69803-58d24a40b2a74

 

 

 

 

সংগঠনে ‘কাউয়া’ (কাক) ঢুকছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আগামী নির্বাচনের আগে দলকে আরও সুশৃঙ্খল, আরও আধুনিক করার তাগিদ দিয়ে আজ বুধবার সিলেটে বিভাগীয় তৃণমূল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রচারলীগ, তরুণলীগ, কর্মজীবী লীগ, ডিজিটাল লীগ, হাইব্রিড লীগ আছে। কথা হাছা, সংগঠনে কাউয়া ঢুকছে। জায়গায় জায়গায় কাউয়া আছে। পেশাহীন পেশিজীবী দরকার নেই। ঘরের ভেতর ঘর বানানো চলবে না। মশারির ভেতর মশারি টানানো চলবে না।’

সিলেট বিভাগের চার জেলার ১০ হাজার তৃণমূল প্রতিনিধিকে নিয়ে সিলেট নগরের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশ হয়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের সভাপতিত্বে ও সিলেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে সিলেট-১ আসনের সাংসদ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহউদ্দিন সিরাজ, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, জেলার সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেনসহ চার জেলার তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।

সিলেটের সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় প্রতিনিধি সমাবেশে আসা কর্মী ও সমর্থকেরা। ছবি: আনিস মাহমুদবিএনপিকে নিয়ে বিচলিত না হওয়ার আহবান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‌‘বিএনপিকে নিয়ে বিচলিত হবেন না। বিএনপির আমি নাম দিয়েছি বাংলাদেশ নালিশ পাটি। বি-তে বাংলাদেশ, এন-এতে নালিশ। পি-তে পার্টি। আন্দোলন করবে তারা রোজা ঈদের পরে। এরপর কোরবানি ঈদের পরে। পরে পরীক্ষার পর। এরপর বছর যায়, আন্দোলন হয় না। মরা গাঙে আর ঢেউ আসবে না। মাস যায়, বছর যায়, বিএনপির আন্দোলন আর কোন বছর হবে? এই বছর না সেই বছর, মানুষ বাঁচে কয় বছর।’

সিলেটের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় সিলেটসহ সারা দেশে প্রতিটি স্থানেই প্রকাশ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কমিটি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগে যেসব পদে জমিদারের মতো দখল হয়ে আছে, সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করতে হবে। এটা নিয়ে টালবাহানা চলবে না।’

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহউদ্দিন সিরাজ আগামী জাতীয় নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ আসনে বর্তমান প্রার্থী। তাঁর এ ঘোষণায় তৃণমূলের প্রতিনিধিরা তখন ব্যানার উঁচিয়ে সমর্থন জানান। বক্তৃতায় মিসবাহউদ্দিন সিরাজ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে তিনবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক করেছেন। আমি আশা করছি, এবার আমাকে সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হবে।’

এ সময় সমাবেশস্থলের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও তাঁর ছোট ভাই জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে আবদুল মোমেন। পরে অর্থমন্ত্রী সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলেননি।

জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র দেড় বছর বাকি আছে। নেতা-কর্মীদের কথা কম বলে বেশি বেশি করে কাজ করতে হবে। আগামী নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগকে আরও সুশৃঙ্খল, আরও আধুনিক হতে হবে। শেখ হাসিনাকে জয় উপহার দিতে হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *