দশম জাতীয় সংসদের অর্জন

Slider রাজনীতি সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

 

57456_rabbi

 

 

 

 

 

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান সমুন্নত এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে জাতির জনক
বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত নির্বাচনকালীন সরকারের সাহসী ব্যবস্থাপনায় ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে দশম জাতীয় সংসদ গঠিত হয় এবং বর্তমান সরকারের ওপর দেশ পরিচালনার গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়। নবম জাতীয় সংসদে ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের ধারাবাহিকতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ার জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার রূপকল্প-২০২১, দিনবদলের সনদ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, আধুনিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে।
গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত ও উন্নয়নের গতি প্রবহমান রাখার জন্য যেমন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অতীব জরুরি ছিল, ঠিক তেমনিভাবে এ সংসদের নিকট সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। একদিকে জাতির জনকের কন্যা; আরেকদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলীয় সরকার হওয়ায় জনগণের চাওয়া- পাওয়ার ব্যারোমিটারও তুঙ্গে ছিল। এ আশা ও প্রত্যাশাকে সামনে রেখে জাতীয় সংসদের কার্যক্রম যেমন বিগত সংসদের চেয়ে অনেক মননশীল ও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে তেমনি এ সংসদে সরকারি ও বিরোধীদলীয় সদস্যগণ অনেক গঠনমূলক আলোচনা করেন। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখে দশম জাতীয় সংসদের শুরু হতে অর্থাৎ ২০১৪ সালের ২৯শে জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের এ পর্যন্ত সর্বমোট ৯৮টি গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়ন করা হয়। নতুন আইন প্রণয়ন করা হয় এবং অন্যগুলো বিদ্যমান আইনের সংশোধনী সংক্রান্ত আইন পাস করা হয়।
জাতীয় সংসদের প্রধান কাজ আইন প্রণয়ন হলেও জাতীয় সংসদের অন্যতম আরো দুটি কাজ হচ্ছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ পলিসি বিষয়ে আলাপ-আলোচনা  করে সিদ্ধান্ত নেয়া এবং নির্বাহী বিভাগের কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য সিদ্ধান্ত প্রস্তাব, প্রশ্নোত্তরপর্ব ও অন্যান্য মাধ্যমে  ড়াবৎংরমযঃ করা। সংসদীয় গণতন্ত্রে এ তিনটি কাজ পার্লামেন্টের অন্যতম কাজ বলে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। দশম জাতীয় সংসদের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৩৯০১টি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব মাননীয় সংসদ সদস্যগণের কাছ  থেকে পাওয়া যায়। তন্মধ্যে ৩৪৯৮টি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব ব্যালটের মাধ্যমে গৃহীত হয়। ৪৫টি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব সংসদে আলোচিত হয় এবং ৩টি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব সংসদে গৃহীত হয় এবং সরকার তা বাস্তবায়ন করছে। গৃহীত সিদ্ধান্ত প্রস্তাবগুলো নিম্নরূপ- কাজী ফিরোজ রশীদ, ১৭৯ ঢাকা-৬ এর-সংসদের অভিমত এই যে, যুদ্ধকালীন আদর্শিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা বিএলএফ-এর ভারতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্যদের তালিকাটি জরুরিভিত্তিতে আনা হউক। মো. মনিরুল ইসলাম, ৮৬ যশোর-২-এর সংসদের অভিমত এই যে, ‘অবিলম্বে মুক্তিযুদ্ধের বীরাঙ্গনাদের একটি তালিকা করিয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হউক।’  বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি ৩৩০ মহিলা আসন-৩০ এর- সংসদের অভিমত এই যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের এবং যুদ্ধাপরাধীদের ও সকল মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধী ব্যক্তিদের সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হউক। উপরোক্ত তিনটি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব যা সংসদে আলোচনাপূর্বক গৃহীত হয়েছে। এক কথায় বলা যায় এটা জনগণের প্রাণের দাবি ছিল বহু পূর্ব থেকেই। কিন্তু যথাসময়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত না হওয়ায় এগুলো এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। দশম জাতীয় সংসদে এ মহান কাজগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংসদে গৃহীত হওয়ায় সরকারের পক্ষে বাস্তবায়নের একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে এবং জনগণ মনে করে শিগগিরই সরকার এগুলো বাস্তবায়ন করে জনগণের কাঙ্ক্ষিত আশাকে প্রতিষ্ঠা করবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ এ সংসদে এটা একটি অন্যতম সাফল্য বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।
সংসদে প্রশ্নোত্তরপর্ব:
জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরপর্বের মাধ্যমে নির্বাহী বিভাগকে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার একটি অন্যতম নিয়ামক হিসেবে পরিগণিত হয়। সারা বিশ্বের সংসদীয় ইতিহাসে এটি একটি স্বীকৃত পদ্ধতি। প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তরপর্ব এর মধ্যে আরো অন্যতম একটি আধুনিক পড়হপবঢ়ঃরড়হ, ইদানীং প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তরপর্বের মাধ্যমে দেশের জনগণ রাষ্ট্রের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তথা সরকারের ঢ়ড়ষরপু সরাসরি  সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মাধ্যমে জানতে পারছে এবং জাতীয় সংসদ এ সময়টুকু খুবই উপভোগ্য হচ্ছে। বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত সাবলীলভাবে আগ্রহের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর দিয়ে থাকেন এবং এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এক অনন্য বৈশিষ্ট্যও বটে। দশম জাতীয় সংসদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য এ পর্যন্ত ২৪৭২টি প্রশ্নের নোটিশ পাওয়া যায়, তন্মধ্যে ৬৯৩টি প্রশ্নের উত্তর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংসদের ফ্লোরে প্রদান করেন যা বর্তমানে একটি ইতিহাসও বটে, কারণ এত অল্প সময়ে অন্য কোনো দেশে প্রধানমন্ত্রী এত সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন এটা জানা যায়নি। দশম জাতীয় সংসদে ১ম অধিবেশন হতে ১৩তম অধিবেশন পর্যন্ত সর্বমোট ২৬৫৯২টি তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের নোটিশ পাওয়া যায়, ২০৭৪৭টি প্রশ্ন গৃহীত হয় এবং ১৬৫৯৫টি প্রশ্নের উত্তর সংসদে প্রদান করা হয়, এছাড়া জাতীয় সংসদে ১৩০৮৩টি তারকা চিহ্নবিহীন প্রশ্নের নোটিশ পাওয়া যায় তন্মধ্যে ১১৫৪৪টি গৃহীত হয় এবং ৯৬২০টি সংসদের টেবিলে প্রশ্নের উত্তর প্রকাশ পায়। উল্লেখ্য যে, তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের ক্ষেত্রে সংসদে প্রশ্নোত্তর প্রদানকালে প্রশ্নোত্তর সময়ের মধ্যে প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ২/৩/৪টি করে তাৎক্ষণিকভাবে সম্পূরক প্রশ্ন উত্থাপন করার ব্যবস্থা রয়েছে এবং সেক্ষেত্রে প্রত্যেক সংশ্লিষ্ট মাননীয় মন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে মাননীয় সদস্য কর্তৃক উত্থাপিত প্রশ্নের উত্তর প্রদান করে থাকেন এটাও সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একটি অন্যতম ঃড়ড়ষং হিসেবে পরিগণিত হয়। বর্তমানে জাতীয় সংসদের কার্যক্রম সরাসরি সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় দেশের জনগণ সরাসরি তাদের এলাকার কার্যক্রম এসব প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে জানার সুযোগ পাচ্ছে। আমি মনে করি এসব কল্যাণমূলক কাজ দশম জাতীয় সংসদের সাফল্যের মাত্রাকে আরো ভারী ও দৃশ্যমান করছে।
প্রস্তাব সাধারণ (বিধি-১৪৭)
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ২০১৪ সালে আলোচনা- সমালোচনা হলেও এ সংসদের নির্বাচিত দু’জন মাননীয় সদস্য (১) বর্তমান মাননীয় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী; এবং (২) মাননীয় সদস্য জনাব সাবের হোসেন চৌধুরী সংসদ বিষয়ক দু’টি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যথাক্রমে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ)-এর নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন এবং ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ)-এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে দেশের জন্য এক বিরল সম্মান বয়ে এনেছেন। এর ফলে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ যেমন সমাদৃত হয়েছে তেমনি জাতীয় সংসদও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। সরকার গঠনের পর সরকার প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা, দূরদর্শী, দক্ষ ও গতিশীল নেতৃত্বে দেশ যেমন উন্নয়নের মহাসড়কে উঠে আসে তেমনি আন্তর্জাতিকভাবে দেশ ও সরকার প্রধান হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়, তার স্বীকৃতিস্বরূপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত হন। তাছাড়া, ভারতের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের ঝুলে থাকা স্থল সীমান্ত চুক্তি সমাধানসহ বাংলাদেশের নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়াসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এ সংসদে আলোচনা হয়। ফলে দশম জাতীয় সংসদ বাংলাদেশের সংসদীয় ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। দশম জাতীয় সংসদে ১৪৭ বিধিতে নিম্নবর্ণিত ১০টি বিষয়ের উপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এবং যা বিগত ৯টি সংসদের চেয়ে ব্যতিক্রম।
বিধি-৭১ ও ৭১ক
দেশের জরুরি জনগুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ের প্রতি কোনো মন্ত্রীর মনোযোগ আকর্ষণের জন্য যে কোনো সদস্য প্রস্তাব উত্থাপন করতে পারেন। দশম জাতীয় সংসদে এ বিষয়টি অন্যান্য সংসদের তুলনায় অত্যন্ত নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে কার্যপ্রণালী-বিধির আলোকে সংসদে আলোচনা করা হচ্ছে। দশম জাতীয় সংসদের ১২তম অধিবেশন পর্যন্ত ৭১ বিধির আওতায় সর্বমোট ৩৮৪৩টি নোটিশ পাওয়া যায়। তন্মধ্যে ১৮৯টি প্রস্তাব সংসদে গৃহীত হয়। ৩৬৫৪টি প্রস্তাব সংসদে গৃহীত হয়নি এবং ৯৯৬টি প্রস্তাবের উপর কার্যপ্রণালী-বিধির ৭১ক বিধি অনুযায়ী দুই মিনিট করে আলোচনার সুযোগ প্রদান করা হয়। এছাড়া দশম জাতীয় সংসদে ৬২ বিধির আওতায় ২৬টি, ৬০ বিধির আওতায় ৪টি এবং ১৬৪ বিধির আওতায় ৪টি নোটিশ পাওয়া যায়, তবে নোটিশগুলো কার্যপ্রণালী-বিধির আওতায় বিধিবদ্ধ না হওয়ায় নোটিশগুলো বাতিল/তামাদি হয়ে যায়।
বিশ্বের অন্যান্য সংসদের/সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ
বিশ্বের সব পার্লামেন্টকে নিয়ে বিশ্বব্যাপী দু’টি আন্তর্জাতিক সংস্থা (১) কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ) এবং (২) ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) গড়ে উঠেছে। এ দুটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান যথাক্রমে আমাদের এই দশম জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও মাননীয় সদস্য জনাব সাবের হোসেন চৌধুরী। এ দুটি সংস্থায় গত তিন বছরে অনেকগুলো সম্মেলন, সেমিনার, ওয়ার্কশপ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত হয়, এসব সম্মেলন, সেমিনার ও ওয়ার্কশপে দশম জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও সদস্যগণ অংশগ্রহণ করে দেশের জন্য বিভিন্ন সময় বিরল সম্মান বয়ে আনছেন। গত তিন বছরে বিভিন্ন দেশের সংসদের মাননীয় সদস্যগণ আমাদের জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও সাংবিধানিক পদে আসীন ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা হয়েছে। গত ১৭-২১ অক্টোবর/২০১৫ সালে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইপিইউ’র ১৩৩তম সম্মেলনে মাননীয় ডেপুটি স্পিকারের নেতৃত্বে মাননীয় বিরোধীদলীয় নেতা অংশগ্রহণ করেন। যা সংসদীয় ইতিহাসে একটি অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। দেশে সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে যে একটি অমোঘ সম্পর্ক রয়েছে, গণতন্ত্র যে তার সঠিক পথেই রয়েছে, এটা তারই একটি উদাহরণ।
সার্বিক বিবেচনা
সার্বিক বিবেচনায় দশম জাতীয় সংসদের সার্বিক অর্জন হিসেবে আমি নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলো উল্লেখ করতে পারি-
গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে পারা;
উন্নয়নের গতি প্রবহমান ও ত্বরান্বিত করে দেশের টেকসই উন্নয়ন করা;
দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার ও বর্তমানে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার নিমিত্তে ৩৭টি নতুন আইন সহ ৯৮টি আইন প্রণয়ন;
সংসদ বিষয়ক দু’টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানের দায়িত্ব বাংলাদেশের অধিকারে আসা;
দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অভূতপূর্ব অবদানের কারণে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার তিন তিনটি পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বে পরিণত করা;
বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ  থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া;
ক্রিকেটসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক খেলাধুলার মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে একটি অনন্য স্থানে অবস্থান  পৌঁছে দেয়া;
খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের মাধ্যমে একটি ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণ;
১৯৭১ সালে অনুষ্ঠিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার সম্পন্ন করা; এবং
জাতীয় সংসদে সরকারি ও বিরোধী দলের গঠনমূলক আলোচনা ও সমালোচনার মাধ্যমে একটি কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠা করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *