দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের পদ থেকে বরখাস্ত হওয়া পার্ক গিউন-হেকে গ্রেপ্তার করার দাবি জোরালো হচ্ছে। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত গিউন-হেকে গত শুক্রবার বরখাস্ত করেন দেশটির সাংবিধানিক আদালত। দুর্নীতির কেলেঙ্কারির জেরে পার্লামেন্টে অভিশংসন প্রস্তাব পাস হওয়ার পর দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত ওই রায় দেন।
রায়ে আদালত বলেন, গিউন-হের কর্মকাণ্ড গণতন্ত্রের চেতনা ও আইনের শাসনের গুরুতর ক্ষতি করেছে। তাঁকে বরখাস্ত করা হলো।
সর্বোচ্চ আদালতের ওই রায়ের ফলে গিউন-হে দায়মুক্তির সুবিধা হারিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে এখন মামলা ও তদন্ত করা যাবে।
রায়ের পরও গিউন-হে প্রেসিডেন্টের রাষ্ট্রীয় ভবন ছাড়েননি। এতে বিরোধীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। অনেকে গিউন-হেকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানাচ্ছেন।
গিউন-হের পক্ষে-বিপক্ষে গতকাল শনিবার রাজধানী সিউলে মিছিল-সমাবেশ হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিউলের রাজপথে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আদালতের রায়ের পক্ষের বিক্ষোভকারীদের মুখপাত্র চই ইন-শক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, তাঁরা গিউন-হেকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানাচ্ছেন।
দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, গিউন-হে বরখাস্ত হওয়ার পর আগামী ৯ মের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।