মালয়েশিয়ায় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জন উং এর সৎভাই কিম জং ন্যাম হত্যাকান্ডের পর দু’দেশের মধ্যে কুটনৈতিক টানাপড়েন তুঙ্গে পৌঁছেছে। উত্তর কোরিয়ায় অবস্থানরত মালয়েশিয়ান নাগরিকদের উত্তর কোরিয়া ছাড়তে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি। জবাবে, উত্তর কোরিয়ান দূতাবাস কর্মকর্তাদের দেশ ছাড়ার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মালয়েশিয়া। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। গত মাসে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে কিম জং ন্যাম হত্যাকান্ডের ঘটনায় মালয়েশিয়ার তদন্ত নিয়ে ক্ষুব্ধ হয় উত্তর কোরিয়া। এর জের ধরে দু দেশের মধ্যে সৃষ্টি হয় কুটনৈতিক টানাপড়েন।
মালয়েশিয়া এ হত্যাকান্ডে উত্তর কোরিয়ান সরকারকে সরাসরি দোষারোপ না করলেও, ধারণা করা হয় এর পেছনে পিয়ংইয়ংয়ের হাত রয়েছে। এমন অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে উত্তর কোরিয়। সেই সাথে তারা তদন্তে গোলমালের অভিযোগ এনেছে মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে, দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে ক্রমাগত। মালয়েশিয়া, উত্তর কোরিয়া উভয় দেশই ইতিমধ্যে একে অপরের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে। মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়া নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে দেশটিতে অবস্থানরত মালয়েশিয়ানদের উত্তর কোরিয়া ছাড়তে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ বলেছে, ‘মালয়েশিয়ায় হওয়া ঘটনা যথাযথভাবে সমাধা হওয়ার আগ পর্যন্ত’ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। তবে, সেখানে অবস্থানরত মালয়েশিয়ানরা স্বাভাবিকভাবেই তাদের দৈনন্দিন কাজ সারতে পারবেন।
এ ঘোষণা আসার কয়েক ঘণ্টা পর মালয়েশিয়ার উপ প্রধানমন্ত্রী আহমাদ জাহিদ হামিদি পাল্টা প্রতিক্রিয়ার ঘোষণা দিয়ে জানান, উত্তর কোরিয়ান দূতাবাস কর্মকর্তা ও কর্মীরা দেশ ছাড়তে পারবেন না। মালয়েশিয়ার স্টার মি. হামিদিকে উদ্বৃত করে জানিয়েছে, ‘আমরা এটা করতে চাই না, কিন্তু এটা করা প্রয়োজন। হত্যাকান্ডের ঘটনা তারা যেভাবে ব্যবহার করেছে, তেমন সঙ্গতিপূর্ণ পদক্ষেপ আমাদের নেয়া প্রয়োজন।’
দু’দেশের পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা কতজন ব্যক্তির ওপর প্রভাব পড়বে তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায় নি।