সন্তানকে জখম করে মায়ের আত্মহত্যা?

Slider ফুলজান বিবির বাংলা রংপুর সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

images

 

 

 

 

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় একটি বাড়িতে সন্তানকে বটি দিয়ে জখম করে মা আত্মহত্যা করেছেন বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। এলাকাবাসী বলছে, মা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তিনি অন্তঃসত্ত্বাও ছিলেন।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার দাড়িদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মায়ের নাম খাদিজা আকতার (৩০)। ছয় বছরের মেয়ের নাম হালিমা আকতার। হালিমা বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে তার বাবা হাসান মিয়াও রয়েছেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।

নাম প্রকাশে না করে কয়েকজন এলাকাবাসী ও খাদিজার মা আবেদা বেগমের দেওয়া ভাষ্য, সাত বছর আগে কাহালু উপজেলার ভুগোইল গ্রামের খাদিজার সঙ্গে আদমদীঘি উপজেলার কুমোরভোগ গ্রামের হাসান মিয়ার বিয়ে হয়। হাসানের কাজের সূত্রে তাঁরা দাড়িদহে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। তিনি স্থানীয় বেসরকারি একটি সংস্থায় মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করেন। আগামী মাসে খাদিজার আরেকটি সন্তান জন্ম নেওয়ার কথা।

আবেদা বেগম ও এলাকাবাসীদের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, সকালে হাসান বাড়ি থেকে বাইরে যান। খাদিজা তাঁর মা আবেদা বেগমকে বাসার বাইরে থেকে পানি নিয়ে আসতে বলেন। আবেদা কয়েক দিন আগে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। আবেদা বাসা থেকে বের হলে খাদিজা দরজা আটকে দেন। পরে মেয়ে হালিমাকে বটি দিয়ে জখম করেন। একই বটি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। মেয়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা টের পেয়ে এগিয়ে যান। তারা বাড়ির টিনের দেয়াল ভেঙে ভেতরে ঢুকে ক্ষতবিক্ষত হালিমাকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে হালিমার বাবা এসে তাকে বগুড়ায় হাসপাতালে নিয়ে যান।

শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) জাহিদ হোসেনের ভাষ্য, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই বটিটি জব্দ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মেয়েকে জখম করার পর মা আত্মহত্যা করেছেন। হত্যার কারণ জানা যায়নি। তবে স্থানীয় লোকজন বলছেন যে, শিশুটির মা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।’

এসআই জাহিদ জানান, খাদিজার লাশ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *