মানবাধিকারের জন্য হুমকি ট্রাম্পের বক্তব্য

Slider সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী সারাবিশ্ব

images

 

 

 

 

হোয়াইট হাউসের জয়যাত্রায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ‘বিষাক্ত’ বাগাড়ম্বর বিভক্তি সৃষ্টিকারী রাজনীতির বৈশ্বিক গতিধারায় ভূমিকা রেখেছে। এ গতিধারা ২০১৬ সালে বিশ্বকে ‘আরো অন্ধকারাচ্ছন্ন’ এক স্থানে পরিণত করেছে। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্টে এসব কথা বলেছে। সংস্থাটি আরো বলেছে, ক্ষমতাসীন বিরোধী রাজনীতিকদের ‘বিষাক্ত’ ভীতি উদ্রেককারী সব মন্তব্য বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারকে হুমকির মুখে ঠেলে
দিয়েছে। বুধবার বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ৪০৮ পৃষ্ঠার বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে অ্যামনেস্টি। ২০১৬ সালকে সংস্থাটি ‘আমরা বনাম তারা’ দৃষ্টিভঙ্গির হতাশাজনক ব্যবহারের বছর হিসেবে আখ্যা দিয়েছে- যেখানে দোষারোপ, ঘৃণা আর ভয় বিশ্বজুড়ে এমন পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে যা ৩০-এর দশকের পর আর দেখা যায় নি যখন জার্মানিতে ক্ষমতায় এসেছিল অ্যাডলফ হিটলার।
ট্রাম্পসহ ‘বিষাক্ত’ বাগাড়ম্বর ব্যবহারকারী বিশ্ব নেতাদের মধ্যে অ্যামনেস্টি উল্লেখ করেছে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান, তুর্কী প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান ও ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রড্রিগো দুতের্তের নাম। অ্যামনেস্টি বলেছে, এই নেতারা ‘বিষাক্ত এজেন্ডা চরিতার্থ করছেন যা বিভিন্ন গোষ্ঠীকে হয়রানি করছে, বলির পাঁঠা বানাচ্ছে আর মনুষ্যত্বহীন হিসেবে উপস্থাপন করছে।’
অ্যামনেস্টি আরো বলেছে, ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় যেসব ‘বিষাক্ত’ বাগাড়ম্বর ব্যবহার করেছে তা ‘ক্ষোভপূর্ণ এবং আরো বিভক্তি সৃষ্টি রাজনীতির বৈশ্বিক গতিধারার’ দৃষ্টান্ত।
অ্যামনেস্টির এ রিপোর্ট নিয়ে মন্তব্য চেয়ে হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বার্তা সংস্থা এপি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হোয়াইট হাউসের তরফে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায় নি।
‘দ্য স্টেট অব দ্যা ওয়ার্ল্ডস হিউম্যান রাইটস’ শীর্ষক অ্যামনেস্টির বার্ষিক প্রতিবেদনে ২০১৬ সালে ১৫৯টি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারের গর্হিত লঙ্ঘন হয়েছে। সংস্থাটি আরো বলেছে, ‘গ্রহণযোগ্যতার সীমা পাল্টে গেছে। রাজনীতিকরা নির্লজ্জ ও সক্রিয়ভাবে সবধরনের ঘৃণামূলক বাগাড়ম্বর ব্যবহার এবং নীতি প্রয়োগের বৈধতা নিরূপণ করছে। স্রেফ মানুষের পরিচয়ের ওপর ভিত্তি করে এগুলো করছে তারা। নারীবিদ্বেষ, বৈষম্য আর সমকামীদের প্রতি ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে। এমন দৃষ্টিভঙ্গির প্রথম শিকার হয়েছে শরণার্থীরা। আর ২০১৭ সালেও যদি এ ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে অন্যরাও এর শিকার হতে পারে।’
অ্যামনেস্টি আরো বলেছে, পপুলিস্ট আন্দোলন এবং বার্তা অধিকতর দেখা যাচ্ছে ইউরোপে যার মধ্যে পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরি উল্লেখযোগ্য। বলা হয়, ‘এর ফলে আইনের শাসন দুর্বল হচ্ছে ব্যাপক পরিসরে আর মানবাধিকার রক্ষার ক্ষয়সাধন হচ্ছে, বিশেষ করে শরণার্থী আর সন্ত্রাসবাদ সন্দেহভাজনদের জন্য; তবে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকের জন্য।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *