আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী ভাষণে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ জায়গা থেকে আমাদের ছেলেমেয়েদের বেরিয়ে আসতে হবে। যখন যেটা বলবে, সঠিকভাবেই উচ্চারণ করবে এবং বলবে।’
ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ভাষার ওপর বারবার আঘাত এসেছে। এটাকে কখনো আরবি হরফে এবং কখনো রোমান হরফে লেখার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু বাঙালি কখনো তা মেনে নেয়নি। এটা হচ্ছে বাঙালিদের চরিত্র, অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করা। এ জন্যই আমরা সব সময় বলি, একুশ আমাদের শিখিয়েছে মাথা নত না করার। সেভাবে আমরা স্বাধীনতাও অর্জন করেছি এই সংগ্রামের পথ বেয়ে।’
অন্য ভাষার প্রতি তাঁর কোনো বৈরিতা নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তবে, নিজের ভাষা আগে শিখতে হবে। সেই সঙ্গে অন্য ভাষাও আমরা শিখব।’ তিনি বলেন, ‘অন্য ভাষা শিখতে হবে। কিন্তু মাতৃভাষাকে ভুললে চলবে না। এটাই হচ্ছে আমাদের কথা। ভাষা শিক্ষার মধ্যে আলাদা একটা মাধুর্য আছে। পৃথিবীতে একমাত্র মানবজাতিরই ভাষা আছে। তারাই কেবল কথা বলতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ভাইয়েরা রক্ত ও জীবন দিয়ে আমাদের এই ভাষা উপহার দিয়ে গেছেন, এর মর্যাদা আমাদের রক্ষা করতে হবে। ‘আমরা প্রচলিতভাবে কথা বলতে গিয়ে যে ধরনের ভাষা ব্যবহার করছি, সেখানে বৈচিত্র্য রয়েছে, এটা থাকবেই, এখানে উচ্চারণে আঞ্চলিকতার টানও থাকতে পারে। যেমন আপনারা যদি জাতির পিতার সাত মার্চের ভাষণ শোনেন, তাহলে আপনারা দেখবেন গোপালগঞ্জের ভাষা তিনি (বঙ্গবন্ধু) সব সময় ব্যবহার করতেন।’শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। ইউনেসকোর ভাষাবিষয়ক উপদেষ্টা অ্যানভিটা অ্যাবি অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ঢাকায় ইউনেসকো প্রতিনিধি বিট্রেস কালডুন, শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইন এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জিনাত ইমতিয়াজ আলী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।