দুর্বার প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষমতা জামায়াত-শিবিরের আছে

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয় টপ নিউজ

82564_BJI Logo00

গ্রাম বাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেছেন, আদর্শহীন আওয়ামী অবৈধ সরকার জামায়াত-শিবিরের উপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালাচ্ছে। একদিকে পুলিশকে সেবাদাসের মতো ব্যবহার করে সারাদেশে নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে অন্যদিকে ট্রাইব্যুনালের নাটক সাজিয়ে শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে হত্যার চেষ্টা করছে। এরপরও জামায়াতে ইসলামী ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে নিয়মতান্ত্রিক অহিংস আন্দোলন করে যাচ্ছে। কিন্তু সরকার এ অহিংস আন্দোলনকে দুর্বলতা মনে করেছে। সরকার যদি জুলুম নিপিড়ন ও বিচারের নামে প্রহসন বন্ধ না করে তাহলে তাদের জানা উচিৎ যে কোনো সময় দুর্বার প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষমতা জামায়াত-শিবিরের আছে।
তিনি আজ ছাত্রশিবিরের মাসিক সেক্রেটারিয়েট বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

শিবির সভাপতি বলেন, সরকার জামায়াতকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই নির্ধারিত ছকে, সাজানো, পাতানো ও ষড়যন্ত্রের বিচারের মাধ্যমে শীর্ষ নেতাদের হত্যাপ্রকল্প হাতে নিয়েছে। ইতোমধ্যেই ইসলামী আন্দোলনের বীর সেনানী শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের ইতিহাসকে রক্তাক্ত ও কলংকিত করা হয়েছে। বিতর্কিত করা হয়েছে দেশের বিচারব্যবস্থাকে। ফলে মানুষের আশ্রয়ের শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগের ওপর গণমানুষের আস্থা এখন শুন্যের কোঠায়। একইভাবে আমিরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন- যথেষ্ট শক্তি থাকার পরও জামায়াতে ইসলামী অহিংস ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে দুর্বলতা মনে করেছে। তিনি সরকারকে উদ্দেশে বলেন, ইসলামপ্রিয় ছাত্রজনতার ধৈর্য্য নিয়ে খেলা করবেন না। ট্রাইব্যুনাল ও আদালত ন্যায়ভ্রষ্ট এবং তারা আপনাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাচ্ছে তাতে কারো সন্দেহ নেই। তাই নাটক করে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হত্যার ষড়যন্ত্র দেশ বিদেশের কোনো বিবেকবান মানুষ মেনে নেয়নি এবং নেবেও না। অবিলম্বে এ জাতিবিনাশী অপতৎপরতা পরিহার করে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিন। অন্যথায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন যে কোনো সময় সর্বাত্মক প্রতিরোধ আন্দোলনে রূপ নেবে। আর সেই প্রতিরোধ আন্দোলনে টিকে থাকার ক্ষমতা আপনাদের থাকবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *