যাতায়াত সমস্যা ও শ্রেণীকক্ষ সংকটে কিশোরীমোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

Slider সিলেট

IMG_20170112_151309

সিলেট প্রতিনিধি :: কিশোরীমোহন সরকারি (বালক) বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ সংকট যেন কিছুতেই কাটছে না। নবনির্মিত ৫৮ লক্ষ টাকা ব্যায়ের ভবন উদ্বোধন হলেও শ্রেণীকক্ষের সংকট কাটেনি। বরং তা আরও তীব্র হয়েছে।

এছাড়াও ২টি ভবনের মাঝখানে সামান্য কিছু ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি থাকার কারণে যাতায়াত সমস্যা প্রকট। আর কোন মাঠ না থাকায় শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা বা সমাবেশ করতে হয় শ্রেণী কক্ষের ভেতরে।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে এ স্কুলের নব নির্মত ‘সৈয়দা শাহারবানু চৌধুরী ভবন’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দের সামনে বিষয়গুলো তুলে ধরেন প্রধান শিক্ষক ফরিদা পারভীন ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দ।

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ১৯৩০ সালে স্থাপিত হয়েছিল। প্রতিষ্ঠার পর জাতীয়করণের পূর্ব পর্যন্ত বিদ্যালয়টি কয়েকবার বন্ধ হয়েছিল আর্থিক অনটনের কারণে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের বক্তব্যে বিষয়টি ওঠে আসে।

প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ ও জাফর ইকবালের স্মৃতিধন্য এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৭০০ জন। সে তুলনায় নেই শ্রেণীকক্ষ। নতুন ভবনের জায়গাটিতে আগে ৪টি শ্রেণীকক্ষ ছিল। দ্বিতল পর্যন্ত কাজ শেষে সংখ্যাটি কমে গেছে। অর্থাৎ নবনির্মিত ভবনে শ্রেণীকক্ষ হয়েছে মাত্র ২টি।

এ অবস্থায় পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হলে দ্রুত ৩য় ও ৪র্থ তলায় আরও ২টি শ্রেণীকক্ষ নির্মাণ জরুরী হয়ে পড়েছে।

আবার বিদ্যালয়ে তেমন কোন ফাঁকা জায়গা নেই। ২টি ভবনে যাতায়াত করতে হলে ‘সিলেট-তামাবিল’ সড়কের মতো একটি অতিব্যস্ত রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। এতে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। নেই কোন খেলা বা সমাবেশ করার মাঠও। সমাবেশের কাজটি করতে হয় শ্রেণীকক্ষের ভেতরে।

আর তাই ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ ও প্রধান শিক্ষক বার বার সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও তিনি তার বক্তব্যে এসব ব্যপার নিয়ে কোন কথা বলেননি। অর্থমন্ত্রী না বললেও বলেছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন।

মাঝখানের ব্যক্তি মালিকানাধিন সামান্য জমিটুকু মালিক পক্ষ স্কুলকে দান না করলে সেটা অধিগ্রহনের করে দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। আর সেজন্য যথাযত প্রক্রিয়া সম্পন্নের পরামর্শ দিয়ে জানিয়েছেন, এ ব্যপারে আমি সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।

তবে ৩ ও ৪ তলার কাজ কবে শুরু হবে তা কেউই উল্লেখ করেননি, না অর্থমন্ত্রী না জেলা প্রশাসক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *