রংপুর: শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দেওয়া আগুনে রনি মহন্ত নামে এক ব্যক্তিকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার সাহাপুর গ্রামের এ ঘটনাটি ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগে জানা গেছে, বদরগঞ্জের সাহাপুর গ্রামের লক্ষ্মণ মহন্তের ছেলে রনি ও একই গ্রামের দীপক মহন্তের মেয়ে অষ্টমী রানীর বিয়ে হয় দুই বছর আগে। কয়েকদিন আগে পারিবারিক কলহের জের ধওে রনি তার স্ত্রীকে মারধর করলে রাগ করে অষ্টমী রাণী তার বাবার বাড়ি চলে যান। এরপর কয়েকবার তাকে শ্বশুড়বাড়ি থেকে ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসেন রনি।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) রনি তার স্ত্রীকে আনতে শ্বশুরবাড়িতে যান। এসময় শ্বশুরবাড়ির লোকজন রনি উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হাত-পা বেঁধে মারধর করেন। পরে শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
রমেক হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি সহকারী অধ্যাপক ডা. এমএ হামিদ জানান, রনি মহন্তের শরীরের ৭৫ শতাংশ আগুনে পুড়ে যাওয়ায় তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতারুজ্জামান জানান, আমরা শুনেছি, রনি মহন্ত নিজের শরীরে আগুন দিয়ে পুড়ে মরার চেষ্টা করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তবে অভিযোগ পেলে ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।