ঢাকা; অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ সংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশের প্রয়োজন নেই বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ না করায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে আদালতে তলব করেছিলেন আপিল বিভাগ। সর্বোচ্চ আদালতের এ আদেশের প্রেক্ষাপটে আজ আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে নোটিশ আকারে প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়। মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মোশতাক আহাম্মদ স্বাক্ষরিত নোটিসে জানানো হয়, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য পৃথক আচরণ বিধিমালা, শৃঙ্খলা বিধিমালা এবং বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (সার্ভিস গঠন, সার্ভিস পদে নিয়োগ ও বরখাস্তকরণ, সাময়িক বরখাস্তকরণ ও অপসারণ) বিধিমালা-২০০৭ সংশোধনকল্পে সুপ্রিমকোর্টের প্রস্তাবিত খসড়া বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা নেই মর্মে প্রেসিডেন্ট সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার এবং অ্যাটর্নি জেনারেলসহ সংশ্লিষ্টদের নোটিসের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে। সন্ধ্যায় নোটিশ প্রাপ্তির বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, নোটিসে আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, তা গেজেট আকারে প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা নেই।
মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে ২০০৭ সালের ১লা নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয় বিচার বিভাগ। এছাড়া নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার একটি খসড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আদালতে দাখিল করা হয়। সরকারের খসড়াটি ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার অনুরূপ হওয়ায় তা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী বলে গত ২৮শে আগস্ট শুনানিতে উল্লেখ করেন আপিল বিভাগ। পরে ওই খসড়া সংশোধন করে সুপ্রিম কোর্ট তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। একই সঙ্গে ৬ই নভেম্বরের মধ্যে তা চ’ড়ান্ত করে প্রতিবেদন আকারে আদালতে উপস্থাপন করতে আইন মন্ত্রণালয়কে বলা হয়। ওই সময়ে প্রতিবেদন দাখিল না করায় ৭ই ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয় আদালত। ওই দিনও প্রতিবেদন দাখিল না করায় ১২ই ডিসেম্বর দুই সবিচকে তলব করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে গঠিত আপিল বিভাগ।
মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে ২০০৭ সালের ১লা নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয় বিচার বিভাগ। এছাড়া নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার একটি খসড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আদালতে দাখিল করা হয়। সরকারের খসড়াটি ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার অনুরূপ হওয়ায় তা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী বলে গত ২৮শে আগস্ট শুনানিতে উল্লেখ করেন আপিল বিভাগ। পরে ওই খসড়া সংশোধন করে সুপ্রিম কোর্ট তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। একই সঙ্গে ৬ই নভেম্বরের মধ্যে তা চ’ড়ান্ত করে প্রতিবেদন আকারে আদালতে উপস্থাপন করতে আইন মন্ত্রণালয়কে বলা হয়। ওই সময়ে প্রতিবেদন দাখিল না করায় ৭ই ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয় আদালত। ওই দিনও প্রতিবেদন দাখিল না করায় ১২ই ডিসেম্বর দুই সবিচকে তলব করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে গঠিত আপিল বিভাগ।