উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, ১ দশমিক ৪০ একর জমিতে এ শিশুপার্কটি গড়ে উঠেছে। ১৯৮৫ সালে এটি পরিচালনার জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করে। পরে নিজ খরচে আধুনিক খেলার যন্ত্রাংশ স্থাপন করার লক্ষ্যে ২০০২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি পার্কটি ইজারা দেওয়া হয়। মেসার্স ভায়া মিডিয়া বিজনেস সার্ভিসেস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে তিন বছরের জন্য ইজারা দেয় সিটি করপোরেশন। তিন বছরের ইজারামূল্য ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫৬ টাকা ৫ পয়সা। এ চুক্তি আর নবায়ন করা হয়নি। এ পার্কটি ছাড়াও গুলশানের ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কটিও একই প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দিয়েছিল সিটি করপোরেশন।
২০০৫ সালে ইজারা চুক্তি বাতিল করে শিশুপার্কটিতে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় সিটি করপোরেশন। ওই বছরের একটি রিট পিটিশন মামলায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় উচ্ছেদ কার্যক্রম সম্ভব হয়নি। পরে রিট পিটিশন মামলাটি নিষ্পত্তি হয়। কিন্তু ইজারাদার ২০০৯ সালে আরেকটি রিট পিটিশন করেন। মামলাটি শুনানির তালিকাভুক্ত আছে। তবে পার্কটির বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা বা স্থগিতাদেশ নেই।
আজ উচ্ছেদের সময় মেয়র আনিসুল হক উপস্থিত ছিলেন। মেয়র জানান, বিনোদনকেন্দ্রটি খুব তাড়াতাড়ি জনসাধারণের জন্য আবার খুলে দেওয়া হবে।
আনিসুল হক বলেন, শহরের মাঝখানে এই জায়গাটি ২০০২ সাল থেকে দখল করে রাখা হয়েছে। প্রতি তিন বছরে মাত্র ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ইজারা। ২০০২ সাল থেকে সেই ইজারার একটি টাকাও সিটি করপোরেশনকে দেওয়া হয়নি।
মেয়র বলেন, ‘গরিবের সম্পত্তি, আমাদের সম্পত্তি, সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি—এত বড় একটি পার্ক বছরের পর বছর তারা দখল করে রেখেছে। মামলার পর মামলা করেছে। আমরা মামলায় জয়ী হয়েছি। আজকে আমাদের, শিশুদের ও সাধারণ নাগরিকদের এই পার্ক পুনরুদ্ধার করলাম। এটা আর কাউকে দখল করতে দেওয়া হবে না।’