আজ শনিবার বেলা ১১টায় নওগাঁয় বাজার ব্যবসা নিরাপত্তায় ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও কোস্টগার্ডের সর্বোচ্চ সতর্কতা সত্ত্বেও যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে, তাদের প্রতি মানবিক আচরণ দেখানো হচ্ছে। অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে যাদের চিকিৎসা প্রয়োজন, তাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। যারা সুস্থ, তাদের ফেরত পাঠাচ্ছে বিজিবি। এ ছাড়া শরণার্থীশিবিরে থেকে যাওয়া রোহিঙ্গাদের সুবিধাজনক সময়ে ফেরত পাঠানো হবে।
এর আগে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়নে শহরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নওগাঁ শিল্প ও বণিক সমিতির নেতাদের ধন্যবাদ জানান।
নওগাঁ শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ারের সভাপতিত্বে সিসি ক্যামেরা কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও নওগাঁ-২ (ধামইরহাট-পত্নীতলা) আসনের সাংসদ শহীদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৬ (রানীনগর-আত্রাই) আসনের সাংসদ ইসরাফিল আলম, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি খুরশিদ আলম, জেলা প্রশাসক আমিনুর রহমান, পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
নওগাঁ শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার বলেন, নওগাঁ শহর সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকলে পুরো শহর পুলিশের নজরদারির আওতায় থাকবে। এতে শহরের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ব্যবসায়ীরা নিশ্চিন্তে তাঁদের ব্যবসা কার্যক্রম চালাতে পারবেন। এ কারণে নওগাঁ চেম্বারের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার স্বার্থে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে শহরের বিভিন্ন প্রবেশপথ ও প্রধান বাজার এলাকাগুলোয় মোট ৬৮টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরা কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করবে জেলা পুলিশ। পর্যায়ক্রমে গোটা শহর সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।