উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল মতিন বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে। এ আদেশ বহাল থাকাকালে এলাকায় একসঙ্গে চারজনের বেশি লোক চলাফেরা করা যাবে না।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, তাজুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আর আবদুল হক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে তাজুল ও আবদুল হক দুজনই চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন চান। শেষ পর্যন্ত তাজুল দলীয় প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হন। নির্বাচনের পর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। এ অবস্থায় ১০ নভেম্বর থেকে পক্ষ দুটির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সোমবারের সংঘর্ষে আবদুল হকের পক্ষের শাহজাহান মিয়া, মানিক মিয়া, মামুন মিয়া ও খোকন মিয়া নিহত হন। ওই চারজনের মধ্যে শাহজাহান মিয়া টেঁটাবিদ্ধ হয়ে এবং বাকিরা মারা যান গুলিতে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে এখন পর্যন্ত তিনটি মামলা করলেও নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা মামলা করেননি। পুলিশের করা মামলায় দুই হাজার গ্রামবাসীকে আসামি করা হয়। এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৬ জনকে।