ভোলায় নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা

Slider নারী ও শিশু

file-1

 

ভোলা;  এক স্কুলছাত্রী (১৬)-কে ধর্ষণের পর গলায় রশি ঝুলিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই ইউনিয়নের উত্তর ভেদুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিতের জন্য পুলিশ স্কুলছাত্রীর লাশটিকে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল হাকিম মিজির ছেলে মাহফুজ ও তার বন্ধুরা জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রীর মা।
নিহত ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, তার স্বামী ঢাকায় চাকরি করেন। তিনি বুধবার বিকেলে বড় মেয়েকে ঢাকার লঞ্চে পৌঁছে দিয়ে একই ইউনিয়নে ভাইয়ের বাড়ি যান। এ সময় তার নবম শ্রেণী পড়–য়া ছোট মেয়েকে তার চাচাত বোন (ইউপি সদস্য মো. আব্দুল হাকিম মিজির মেয়ে) নুপুরের সাথে রেখে যান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাহফুজ ও তার বন্ধুরা মেয়েকে ধর্ষণের পরে গলায় রশি ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালায়। তবে ইউপি সদস্য মো. আব্দুল হাকিম মিজি বলেন, তার ছেলে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত স্থানীয় সাঈদী, শামীম ও জুয়েল নামের তিন বখাটেকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে। এমনকি তিনিই ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবীর অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। নিহত মেয়ের গলা ছাড়া শরীরের কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। নিহতের পরিবার মামলা দিলে নেব। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা পলাতক রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *