আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সুসময়ে অনেকে সুন্দর সুন্দর স্লোগান দেন, গলা ফাটিয়ে বক্তব্য দেন। সভাস্থল ফুলের মালায় ভরে যায়। সুসময়ে বসন্তের কোকিল অনেক। দুঃসময়ে হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও অনেককে খুঁজে পাওয়া যায় না। তিনি বলেন, দুঃসময় এলে চোরাইপথে অনেকে পালিয়ে যায়। তিনি নেতা-কর্মীদের জিজ্ঞাসা করেন, এই কর্মী দিয়ে কি ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে? তখন সমস্বরে নেতা-কর্মীরা ‘না’ ‘না’ বলে ওঠেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর, ২১ আগস্ট একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। ৩ নভেম্বর এই হত্যাকাণ্ড হয় কারাগারের অভ্যন্তরে। ৩ নভেম্বর জেলহত্যার লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করে দেওয়ার সুগভীর চক্রান্ত। একটা নীলনকশা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকার শক্তিশালী আর আওয়ামী লীগ দুর্বল হলে, দুর্বল আওয়ামী লীগ সরকারের মধ্যে হারিয়ে যাবে। সেটা আওয়ামী লীগের জন্য শুভ লক্ষণ নয়। দলের মধ্যে সরকার হারিয়ে যাবে, সরকারের মধ্যে দল হারাবে না। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’
পরবর্তী নির্বাচনের জন্য নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘পরবর্তী নির্বাচনের আর দুই বছর আছে। প্রস্তুতি আমরা শুরু করেছি। এখন নেতাদের খুশি করার দরকার নেই। খুশি করতে হবে দেশের জনগণকে।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনপ্রতিনিধি হয়েও যাঁদের পা অহংকারে মাটিতে পড়ে না, তাঁরা শুদ্ধ হয়ে যান, সংশোধন হোন। যাঁরা খারাপ আচরণ করেছেন; তিনি যে এলাকার, সেই এলাকার মানুষের কাছে ক্ষমা চান।
কাদের আরও বলেন, ‘খারাপ আচরণের জন্য শাস্তি পেতে হবে। নিয়ম ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে কোনো আপস নেই। আমরা আমাদের এত অর্জনকে ধূলিসাৎ করতে পারি না।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, কেন্দ্রীয় সদস্য আমিনুল আলম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।