পদ চাইনি: সোহেল তাজ

Slider ফুলজান বিবির বাংলা রাজনীতি সারাদেশ

 th

ঢাকা;  রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকার কারণে কারও কাছে পদ চাননি বলে জানিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলনের কারণে তিনি দেশে ফেরেননি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর ফেসবুক পাতায় দেওয়া এক স্ট্যাটাসে সোহেল তাজ এসব কথা বলেন।

সোহেল তাজ তাঁর স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘আপনাদের মন্তব্য এবং পত্র-পত্রিকার কিছু সংবাদ পড়ে, আর গণমাধ্যমের কিছু সংবাদ দেখে আমার কাছে মনে হয়েছে যে অনেকের ধারণা, বিগত আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আমাকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হবে। এ বিষয়ে অনেক বিভ্রান্তিকর খবরও প্রকাশিত হয়েছে এবং এটাও প্রচারিত হয়েছে যে আমি দেশে ফিরেছি সম্মেলনের কারণে। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এসব ধারণা সঠিক নয়। আমি কোনো পদ কারও কাছে চাইনি এবং আশাও করিনি। কারণ, বর্তমানে আমি রাজনীতিতে সক্রিয় নই।’

আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে সোহেল তাজকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার আলোচনা ছিল। সম্মেলনের ঠিক আগ মুহূর্তে টানা দুদিন দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে দেখাও করেন তিনি। সম্মেলনে যোগ দেন গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর হিসেবে। সম্মেলনের পর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সম্পাদকমণ্ডলীসহ মোট ৪৩টি পদে নেতাদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে তাঁর স্থান হয়নি। তবে ৩৮টি পদে এখনো কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি।

চারদলীয় জোট সরকারের আমলে রাজপথে আন্দোলনে সক্রিয় থেকে অনেকের নজর কাড়েন সোহেল তাজ। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসন থেকে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি গঠিত মন্ত্রিসভায় সোহেল তাজকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে এর পাঁচ মাসের মাথায় ২০০৯ সালেই তিনি পদত্যাগ করেন। ওই বছর ৩১ মে তিনি পদত্যাগ করে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেন। কিন্তু তখন তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন বছর পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ায় ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একটি চিঠি দেন তিনি। পাশাপাশি তিনি পদত্যাগসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারিরও আবেদন জানান। সেই সময় থেকে তাঁর ব্যক্তিগত হিসাবে পাঠানো বেতন-ভাতার যাবতীয় অর্থ ফেরত নেওয়ারও অনুরোধ জানানো হয় ওই চিঠিতে। এরপর ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিলে সংসদ থেকেও পদত্যাগ করেন সোহেল তাজ। পরে ওই আসনে তাঁর বোন সিমিন হোসেন সাংসদ নির্বাচিত হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *