ঢাকা; যে সরকারের অধীনেই নির্বাচন হোক না কেন, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ হতে হবে এমনটা জানিয়েছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। পাশাপাশি তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হবে না। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কচি-কাঁচা মিলনায়তনে সংগীত প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান ও আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। জিয়া শিশু-কিশোর মেলা এ আয়োজন করে। তিনি বলেন, আলোচনা বড় কথা নয়, সকলের সম্মতি ও পরামর্শ নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। এমন লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে যারা তাদের মাথা কারো কাছে বন্ধক রাখবে না। মেরুদণ্ড সোজা রাখবেন ও সাংবিধানিক অধিকার রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবেন। নজরুল ইসলাম খান বলেন, গণতন্ত্রের বাহন হলো নির্বাচন। নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। যারা বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে আছেন তারা অথর্ব। তিনি বলেন, দেশের মানুষের জীবনজীবিকা নিরাপত্তাহীন। প্রতিনিয়তই মানুষ খুন হচ্ছে, নারী ও শিশু নির্যাতিত হচ্ছে। আমরা বিচার পাই না। মূল কারণ হচ্ছে অপরাধগুলোকে রাজনীতিকরণ করা হচ্ছে। সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অপরাধ দমনের চেষ্টা না করে, প্রতিপক্ষ দমন করা শুভ দৃষ্টান্ত নয়। এটা অপরাজনীতি, অপশাসন। ইতালি নাগরিক তাবেল্ল সিজার হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, র্যাব বলছে তাবেল্লা সিজারের হত্যার সঙ্গে নব্যজঙ্গিরা জড়িত। অথচ পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এর সঙ্গে ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা কাইয়ুম জড়িত। অপরাধীকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। এতে রাজনীতি সম্পৃক্ত করা হলে অপরাধীরা আঁড়ালে চলে যায়। প্রখ্যাত এ শ্রমিক নেতা বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম একজন সৈনিক ছিলেন। দখলদার ইংরেজদের বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন, স্বাধীনতার জন্যজনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। জিয়াউর রহমানও একজন সৈনিক ছিলেন। তিনিও চিত্তবিনোদনের জন্য শিশুপার্ক, প্রতিভা বিকশিত করতে শিশু একাডেমি, নতুন কুঁড়ি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। এর আগে সংগীত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক আলহাজ জাহাঙ্গীর শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও জাসাসের সাধারণ সম্পাদক কণ্ঠশিল্পী মনির খান বক্তব্য দেন।