ঢাকা; ইডেন কলেজের সাবেক অধ্যাপক আলী হোসেন মালিক খুনের ঘটনায় তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। অর্থের লোভে শিক্ষক আলী হোসেনকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি র্যাবের।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর কল্যাণপুরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৪-এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়ে ওই দাবি করা হয়।গ্রেপ্তার হওয়া তিন ব্যক্তি হলেন মাসুদ মল্লিক, সায়েদ ফকির ওরফে সাইফুল ও তাঁর চাচাতো ভাই সুজন।
র্যাবের ভাষ্য, গতকাল সোমবার রাতে মাসুদকে ঢাকা থেকে এবং সাইফুল ও সুজনকে বরিশালের গৌরনদী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১১ অক্টোবর রাজধানীর বনানী ডিওএইচএসের একটি বহুতল ভবন থেকে আলী হোসেনের (৬৮) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁকে হাত-পা বেঁধে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ জানায়।
১১ অক্টোবর রাজধানীর বনানী ডিওএইচএসের একটি বহুতল ভবন থেকে আলী হোসেনের (৬৮) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁকে হাত-পা বেঁধে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ জানায়।
গ্রেপ্তার হওয়া তিন ব্যক্তি সম্পর্কে র্যাব-৪ জানায়, আলী হোসেনের গাড়িচালক মাসুদ। সাইফুল ওই ভবনের তত্ত্বাবধায়ক। তাঁর চাচাতো ভাই সুজন। আলী হোসেন খুন হওয়ার পর তাঁরা তিনজনই পলাতক ছিলেন।
র্যাব-৪-এর অধিনায়ক খন্দকার লুৎফুল কবীরের ভাষ্য, আলী হোসেনকে হত্যায় মাসুদ, সাইফুল ও সুজন জড়িত। তাঁরা অর্থের লোভে এই খুন করেছেন।
খন্দকার লুৎফুল কবীরের দাবি, আলী হোসেন ব্যাংক থেকে টাকা-পয়সা তুলে তা লেনদেন করতেন। তাঁর চালক মাসুদ বিষয়টি লক্ষ করেন। টাকা হাতিয়ে নিতে অন্য সহযোগীদের সঙ্গে পরিকল্পনা করেন তিনি। তাঁরা আলী হোসেনকে খুন করে দেড় লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান।
স্বজন ও স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, শিক্ষকতা থেকে অবসর নেওয়ার পর বনানী ডিওএইচএসের ২ নম্বর সড়কের একটি বহুতল ভবনের দেখাশোনার দায়িত্ব নেন আলী হোসেন। বাড়ির দুই তত্ত্বাবধায়ক সেলিম মিয়া ও সাইফুল চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাটের কক্ষে থাকতেন। আর আলী হোসেন ওই ফ্ল্যাটের আরেকটি কক্ষে বসতেন। তিনি মিরপুরের বাসায় না ফিরলে সেখানেই থাকতেন। স্ত্রী, এক ছেলেসহ মিরপুর-১০ নম্বরে থাকতেন তিনি।
স্বজন ও স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, শিক্ষকতা থেকে অবসর নেওয়ার পর বনানী ডিওএইচএসের ২ নম্বর সড়কের একটি বহুতল ভবনের দেখাশোনার দায়িত্ব নেন আলী হোসেন। বাড়ির দুই তত্ত্বাবধায়ক সেলিম মিয়া ও সাইফুল চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাটের কক্ষে থাকতেন। আর আলী হোসেন ওই ফ্ল্যাটের আরেকটি কক্ষে বসতেন। তিনি মিরপুরের বাসায় না ফিরলে সেখানেই থাকতেন। স্ত্রী, এক ছেলেসহ মিরপুর-১০ নম্বরে থাকতেন তিনি।