নিহত কলেজছাত্রের বাবা আবু হেনা বলেন, গতকাল শনিবার রাত আটটার দিকে কে বা কারা মোবাইল ফোনে রায়হানকে ডেকে নিয়ে যায়। ফোন পেয়ে পাশের ময়নাকুঠি বাজারে যাওয়ার কথা বলে তিনি বেরিয়ে যান। এরপর তিনি রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। আজ সকালে তিনি একটি লাশ উদ্ধারের খবর পান। পরে বাড়ি থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে সিটি করপোরেশনের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বুড়াইল এলাকায় গিয়ে লাশটি তাঁর ছেলের বলে শনাক্ত করেন।
আবু হেনা আরও বলেন, রায়হান পড়াশোনার পাশাপাশি রংপুর নগরের কুকরুল এলাকার একটি সমবায় সমিতিতে মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম বলেন, লাশের গলায় ছুরি দিয়ে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর পুরো শরীরে কাদামাখা ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা তাঁকে হত্যা করে লাশ ধানখেতে ফেলে রেখে গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।